আন্দোলনরত ছাত্ররা আবার মাঠে নামলে কঠোর হবে প্রশাসন- এমন ঘোষণার মধ্যেও ফের রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। বেপরোয়া বাসের চাপায় গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় টানা সপ্তম দিনেরমতো আন্দোলন চালিয়ে আসছে তারা।
Advertisement
নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ফের রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা রাজধানীর মিরপুর-১০, উত্তরা, ফার্মগেট, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব ও আসাগেটে অবস্থান নিয়ে গাড়ির কাগজপত্র ও চালকের লাইসেন্স চেক করছে।
রাজধানীর ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের শাহবাগ জোনের সহকারী কমিশনার সাহেদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের সড়কে অবস্থান নিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স চেক করছে। কোনো সমস্যা নেই। তবে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম।
Advertisement
মিরপুরের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে কম্পিত হচ্ছে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর। ফলে কোনো দিক থেকে কোনো ধরনের যানবহন চলাচল করতে পারছে না।
অন্যদিকে উত্তরা হাউস বিল্ডিং ও জসীমউদ্দীনের সামনের সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে ডিএমপি’র ট্রাফিক(উত্তর) উত্তরা জোনের এডিসি হুমায়রা পারভিন জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তায় চলাচল বন্ধ। জসীমউদ্দীন ও হাউজবিল্ডিংয়ের সড়ক অবরোধ করায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, মোহাম্মদপুর এলাকার শিক্ষার্থীরা আসাদগেটে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সেজন্য পুলিশ সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।
Advertisement
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনের এডিসি সাত্যকি কবিরাজ ঝুলন বলেন, ফার্মগেটে কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নেয়ায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরাও পাশেই অবস্থান নিয়েছে। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে তা দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন আরও ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী।
জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
ওই ঘটনায় জাবালে নূরের তিন গাড়ির দুই চালক ও দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। এর আগে নিহত মিমের বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জেইউ/এআর/এমবিআর/পিআর