আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে সংঘর্ষে ১২ সেনা নিহত

মিয়ানমারের শান রাজ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে দেশটির সেনাবাহিনীর ১২ সদস্যসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো অনেকে। চলতি সপ্তাহে রাজ্যের বিদ্রোহীগোষ্ঠী রিস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেট (আরসিএসএস) ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

আরসিএসএস ও সংগঠনটির সংশ্লিষ্ট একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে সংঘর্ষে আরসিএসএসের বেশ কিছু সদস্য আহত হলেও সঠিক পরিসংখ্যান জানায়নি দলটি।

স্থানীয় সূত্র বলছে, শান রাজ্যের মং কুং এলাকায় গত চারদিনের লড়াইয়ে শত শত মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। দলটির নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, আরসিএসএস ও তাই ফ্রিডম হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ড্রোন ও আর্টিলারি ঢালসহ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বেশ কিছু অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার দাবি করেছে আরসিএসএস। আরসিএসএসের মুখপাত্র লে. কর্নেল সাই ওও সংঘর্ষে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

সংঘর্ষে হতাহতের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের স্থলবাহিনীর দেয়া তথ্যের সঙ্গে তাই ফ্রিডমের তথ্যের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে সংঘর্ষে তার দলের এক সৈন্য নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাই ওও।

তিনি বলেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে গত ৯ জুলাই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়; যা চলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আরসিএসএসের তথ্য শাখা হিসেবে কাজ করে তাই ফ্রিডম। মং কুংয়ে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রত্যেকদিন হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে তাই ফ্রিডম। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্রের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।

তাই ফ্রিডমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মং কুং এলাকার আকাশে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছে। তবে সেনা হেলিকপ্টার থেকে শুধুমাত্র সংঘর্ষপ্রবণ এলাকায় টহল দেয়া হচ্ছে এবং আরসিএসএসের অবস্থানে গোলাবর্ষণ করা থেকে বিরত রয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।’

সংঘর্ষপ্রবণ এলাকা থেকে স্থানীয় জাতিগত শান গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রাম ছেড়ে পালানোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শানদের এই গ্রামগুলোর অবস্থান মং কুং শহর থেকে ১০ মাইল দূরে। স্থানীয় দাতাগোষ্ঠীগুলো বাস্ত্যুচুত মানুষকে মং কুং শহরের বৌদ্ধ মন্দিরে আশ্রয় দিয়েছে।

Advertisement

সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণভাবে বাস্ত্যুচুত মানুষের পরিস্থিতি আরো খারাপ আকার ধারণ করছে। স্থানীয় কিছু দাতা সংস্থা বাস্ত্যুচুত মানুষদের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছে।

সূত্র : দ্য ইরাবতি।

এসআইএস/জেআইএম