আন্তর্জাতিক

বিমানে বসে এসি বন্ধ করে সিগারেটে টান পাইলটের

বিমানকে জরুরি অবতরণ করতে হবে এমন আশঙ্কায় সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কারণ এয়ার চায়না বিমানের কেবিনে অক্সিজেনের লেভেল দ্রুতই কমে যাচ্ছিল। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সহকারি পাইলট ফ্লাইটে ই-সিগারেট খাচ্ছিলেন। সেই সিগারেটের ধোঁয়ার কারণেই যত বিপত্তি।

Advertisement

এয়ার চায়নার বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি চীনের দালিয়ান শহর থেকে হং কংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু মাঝ আকাশে বিমানটি প্রায় ১০ হাজার ফুট নিচে নেমে আসে। সে সময় যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্কও দেয়া হয়। পরে বিমানটি অবশ্য আবার স্বাভাবিকভাবে তার গন্তব্যের উদ্দেশে চলতে থাকে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনা বিমান সংস্থাগুলোর ভালো রেকর্ড রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে বিমানের যাত্রীরা পাইলটদের বিমান চালানোর সময় ধূমপানের অভিযোগ এনেছেন। বেশ কিছু ঘটনা নিশ্চিতও হওয়া গেছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম চায়না নিউজ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে কো-পাইলট বিমানে ই-সিগারেট খাচ্ছিলেন। এতে যাত্রীদের কেবিনের দিকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। যাত্রীদের কেবিনে সিগারেটের ধোঁয়া না যাওয়ার জন্য পাখা বন্ধ করতে গিয়ে তিনি এসি বন্ধ করে দেন। এতে কেবিনে অক্সিজেন কমে যায়। এ বিষয়ে তিনি পাইলটকেও কিছু জানাননি।

Advertisement

ওই অবস্থার পর পরই জরুরি অ্যালার্ম বেজে উঠলে ক্রু সদস্যরা সব ধরনের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সমস্যা বুঝতে পারছিলেন না ততক্ষণই যাত্রীদের অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়।

চীনের বিমান সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, সব ধরনের ফ্লাইটে ক্রুদের ধূমপান করা নিষিদ্ধ। ২০০৬ সালে বিমানের ফ্লাইটে ই-সিগারেট ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়।

টিটিএন/এমএস

Advertisement