বিদায়ী অর্থবছরজুড়ে (২০১৭-১৮) দেশের শেয়ারবাজার লেনদেন ও মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তৈরি করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
ডিএসইর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২১ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।
অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৫০ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
লেনদেন : ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়ছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে (২০১৬-১৭) লেনদেন হয় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। সে হিসাবে সদ্য বিদায় নেয়া অর্থবছরে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২১ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।
Advertisement
২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের শেয়ারবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৬ কার্যদিবস। এই কার্যদিবসগুলোতে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে মোট লেনদেন হয় ২৩৯ কার্যদিবস। প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয় ৭৫৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১০৯ কোটি টাকা।
ডিএসইএক্স : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৫০ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক পর্যায়ে ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট পর্যন্ত উঠেছি।
ডিএসই-৩০: ডিএসই-৩০ সূচক ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২৩ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ কম। অবশ্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক পর্যায়ে ডিএসই-৩০ সূচকটি ২ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে উঠেছিল।
শরীয়াহ সূচক : ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৩ পয়েন্টে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ডিএসই শরীয়াহ সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান ছিল ১ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে।
Advertisement
বাজার মূলধন : সূচক ও লেনদেন কমলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে। অর্থবছর শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৪ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ডিএসইর বাজার মূলধনের সর্বোচ্চ ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা পর্যন্ত দাঁড়ায়।
এমএএস/এমআরএম/এমএস