নিপাহ ভাইরাস আতঙ্কে ভারতে আম রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এ মৌসুমে ভারত থেকে আম আমদানি বাতিল করেছে। এটি দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা। ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেশটি বিশ্ববাজারে মোট ৪৯ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন আম রফতানি করে। যেখানে ২০১৬-১৭ মৌসুমে রফতানি ছিল ৫২ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন। সেই হিসাবে, ২০১৭-১৮ মৌসুমে দেশটির আম রফতানি কমেছে ১১ শতাংশ।
Advertisement
ইউএই এবার ভারতের জন্য তাদের আমের বাজার বন্ধ রেখেছে নিপা ভাইরাস আতঙ্কে। গত বছর ভারত শুধু ইউএইতে রফতানি করেছে ২৩ হাজার ৫৪২ টন আম। যার মূল্য আসে ২৮.৬১ মিলিয়ন ডলার। বাকি ২৮ হাজার ৪৮৩ টন আম রফতানি করে আয় করে ৩৭.৪৮ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, নিপাহ ভাইরাস প্রাণী ও মানবদেহে মারাত্মক রোগের কারণ। আর এটির বিস্তার ঘটে ফল খাওয়া বাদুড় থেকে। গত মাসে নিপা ভাইরাসের কারণে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় সতর্ক নির্দেশনা জারি করা হয়।
ভারতের আম রফতানিকারক রাজ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশ।
Advertisement
ম্যাংগো গ্রোওয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট এস ইনসারাম আলী বলেন, ‘ইউএই আমদানি বাতিল করায় আমাদের আম রফতানি কমেছে। আমরা একটি ব্যাখ্যাও পাঠিয়েছি যে, নিপা ভাইরাস কাঁচা আম ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না বরং পাকা আমে হয়। কিন্তু আমাদের কাঁচা আমই বেশির ভাগ রফতানি হয়। অথচ তারা আমাদের কোনো জবাব দেয়নি।’
শুধু রফতানি নয়, ভারতে আম উৎপাদনও কমেছে। উত্তর প্রদেশের ১৪টি অঞ্চলে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন করে আম উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের মৌসুমের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টন কম।
আলী বলেন, ‘ঝড়ের পাশাপাশি পোকামাকড়ের আক্রমণেও আমের উৎপাদন কমেছে। এছাড়া মানুষ আমে ভুল কীটনাশক ছিটিয়েছে, যা কোনো কাজে আসেনি। এ কারণে এ বছর কৃষকদের আয়ও অনেক কমে গেছে। বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।‘
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
Advertisement
এসআর/আরআইপি