ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তিনিই ছিলেন ম্যানেজার। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে সামনে রেখে চলমান অনুশীলন ক্যাম্পেও তার দেখা মিলেছে প্রায় নিয়মিতই। প্র্যাক্টিসে টাইগারদের সাথে থাকলেও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে কঠিন সিরিজে দলের সাথে থাকবেন না খালেদ মাহমুদ সুজন।
Advertisement
শেরে বাংলা আশেপাশে ভেসে বেড়ানো কোন গুঞ্জন নয়, খোদ খালেদ মাহমুদ সুজনের নিজের মুখের কথাই এটি- ‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে থাকছি না। তা আগেই জানিয়ে রেখেছি।’ আজ দুপুরে জাগো নিউজের সাথে আলাপে এমন কথা সুজনের।
তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টাইগারদের ম্যানেজার কে? সুজনের জবাব, ‘তা জানিনা। আমি ম্যানেজার থাকছি না এটুকুই শুধু জানি।’ গত প্রায় বছর পাঁচেক ধরেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজম্যান্টে অবিচ্ছেদ্য অংশ খালেদ মাহমুদ। কখনো ক্রিকেট ম্যানেজার, কখনো ট্যুর ম্যানেজার, আবার কোন সময় সহকারী কোচের ভূমিকায়ও ছিলেন তিনি।
মাঝে গত ১ বছরে একাধিক সিরিজে ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় দূরে ছিলেন সুজন। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করা হয়েছিল তাকে। দেশের ক্রিকেটে বিশেষ করে ঢাকা লিগ এবং বিপিএলে কোচ হিসেবে বেশ সফল সুজন জাতীয় দলকে সাফল্যর মুখ দেখাতে পারেননি।
Advertisement
সেই না পারা থেকে শ্রীলংকায় নিদাহাস ট্রফিতে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদ হাতছাড়া হয়। তার বদলে আবার ম্যানেজার হিসেবে শ্রীলংকা যাওয়া। তারপর দেরাদুনেও ম্যানেজার ছিলেন সুজন। মনে হচ্ছিল স্থায়ী ম্যানেজার হিসেবেই থাকবেন সুজন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। আবারও স্বেচ্ছায় ম্যানেজারের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সুজন। এখন দেখার বিষয় তার বদলে ক্যারিবীয় সফরে টাইগারদের ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকেন কে। তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার সাব্বির খানকে ম্যানেজারের পদে দেখা যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজগামী দলের সাথে।
এআরবি/এসএএস/পিআর