২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট নিয়ে নিজেদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরল শিশুরা। বৃহস্পতিবার জতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শিশুরা তাদের সুপারিশমালা প্রকাশ করে।
Advertisement
সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) সারা দেশের ৪ হাজার ৮০০ শিশুর বাজেট ভাবনা সংকলন ও উপস্থাপনের কাজটি করে। এতে এ বছরের শুরু থেকেই জাতীয় বাজেট নিয়ে সারাদেশের শিশুরা তাদের মতামত জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে শিশুদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিল ফারিয়া মেহজাবীন, মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, ফেরদৌস নাইম, মারিয়াম আখতার, তাইফা বারী, ইয়াসমিন আখতার, শাফায়েত জামিল ও সুমাইয়া আখতার।
শাফায়েত জামিল বলেছে, ‘বিশেষ কিছু খাতে গুরুত্ব দিয়ে আমরা সরকারকে কিছু প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছি। যাতে শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।’
Advertisement
শিক্ষাখাতে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে শিক্ষাখাতে দক্ষ জনবল নিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের সুপারিশ জানায় শিশুরা। এ ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থায় এতিম, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও শ্রমে নিয়োজিত শিশুরা যাতে সমান অধিকার পায় তার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায় তারা।
মাদক গ্রহণ ও বাল্যবিবাহ নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা এর প্রতিরোধে গণসচেতনতা তৈরির আহ্বান জানায়।
বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, প্রতিষ্ঠান, পরিবারসহ সব ক্ষেত্রে সবরকম সহিংসতা থেকে সুরক্ষার পাশাপাশি অনলাইনেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানায় তারা। শিশুদের অনলাইনে নিরাপত্তা দেবার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করে শিশুরা।
এ ছাড়া শিশুদের বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, খেলাধুলার ব্যবস্থা ও পাঠাগার স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
Advertisement
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শিশু অধিকারবিষয়ক কনভেনশনের (ইউএনসিআরসি) সাধারণ মন্তব্য ১৯ (২০১৬) এ শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ এবং তার প্রয়োগের জন্য সরকারগুলোর প্রতি সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বাজেট প্রক্রিয়ায় শিশুর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করবার প্রতিও গুরুত্ব দেয়া হয়।
২০০৩ সাল থেকে শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন, বঞ্চনা ও পাচার বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ করে আসছে এনসিটিএফ। বর্তমানে সারাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা নিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দাবি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
এমএ/জেডএ/পিআর