অর্থনীতি

সহজ ব্যবসার সূচকে পিছিয়ে পড়াটা উদ্বেগের

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ অর্থনীতির সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে ডুইং বিজনেস (সহজে ব্যবসা করার সূচক) ক্যাটাগরিসহ বেশ কিছু সূচকে পিছিয়ে পড়ছে, যা উদ্বেগের বিষয়। এ ধরনের সূচকে অগ্রগতি অর্জনে তিনি সব পক্ষের একযোগে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ডুইং বিজনেসসহ অন্যান্য সূচকে অগ্রগতি অর্জনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

Advertisement

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কোম্পানি আইনের সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাসন ব্যবস্থায় প্রচুর অপ্রয়োজনীয় আইন রয়েছে যেগুলো বাদ দেয়া প্রয়োজন এবং সরকার এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আইনসমূহের সংস্কারে আরও গতি আনার উপর জোর দেন। তিনি সরকার ও ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কোম্পানি আইন প্রণয়ন ও চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন এ আইনে ব্যবসায়ীদের আশা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান এবং নতুন নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালার সংস্কার, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাস, মানবসম্পদ ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে ব্যবসা পরিচালনায় সহজাত পরিবেশ তৈরির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নতুন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর জন্য নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতা কমানো এবং বিভিন্ন ধরনের ফি/চার্জ কমানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত কোম্পানি আইন বাস্তবায়িত হলে অনেক নতুন কোম্পানি করের নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে।

এমইউএইচ/এসআই/ওআর/পিআর

Advertisement