আন্তর্জাতিক

চীনে মসজিদে জাতীয় পতাকা ওড়ানোর নির্দেশ

চীনের মসজিদে মসজিদে জাতীয় পতাকা ওড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসলাম বিষয়ে দেশটির শীর্ষ নীতিনির্ধারণী সংগঠন চায়না ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে, সমাজতন্ত্রের আদর্শকে নিজের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ এবং সেই আদর্শের আলোকে ধর্মীয় গ্রন্থকে ব্যাখ্যা করারও নির্দেশ দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

Advertisement

খবরে বলা হয়, সরকার অনুমোদিত এই সংগঠনটি মুসলিম আলেমদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মসজিদের দৃশ্যমান জায়গায় পাঁচ তারকা সম্বলিত লাল পতাকা ওড়াতে হবে। বিশেষ করে নিনজিয়া, বেইজিং, গানসু, কিংহাই ও জিংজিয়াং প্রদেশে এ বিষয়ে বিশেষ প্রচার প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে ওই সংগঠনটি। এই বিবৃতিকে কমিউনিস্ট শাসিত চীনে মুসলিমদের ধর্মীয় বিধি-বিধানের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের এটি সর্বশেষ পদেক্ষেপের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো চীনেও গত সপ্তাহ থেকে রমজান মাস উপলক্ষে রোজা রাখা শুরু করেছেন মুসলমানরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, মসজিদে মসজিদে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হলে জাতীয় ও নাগরিক আদর্শ সম্পর্কে ধ্যান-ধারণা বাড়বে এবং মুসলিমদের মাঝে দেশাত্মবোধ জেগে উঠবে।

Advertisement

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মসজিদগুলোর উচিৎ সমাজতন্ত্রের মৌলিক বিষয় সংক্রান্ত তথ্যসমূহ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা এবং সেগুলো মুসলিমদের কাছে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা যাতে করে মানবমনে এগুলো গভীরভাবে গেঁথে যায়।

চীন সম্প্রতি ধর্মীয় বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র বের করেছে। এতে ধর্মানুরাগীদের কমিউনিস্ট নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন এবং দেশের ও দেশের জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। ‘ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতার উপর চীনের নীতি ও রীতির নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক ওই শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়, ২০ কোটি ধর্ম বিশ্বাসীদের উচিৎ সমাজতান্ত্রিক সমাজের সাথে মিল রেখে ধর্মীয় বিধি-নিষেধ মেনে চলা.....।

১০টি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বাদেও দেশটিতে ২ কোটি মুসলমানদের বসবাস রয়েছেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে মুসলিম সম্প্রদায়কে সমাজতন্ত্রের মৌলিক বিষয়কে তাদের পথ নির্দেশক, সমাজতন্ত্রের মৌলিক বিষয়সমূহের আলোকে ধর্মীয় গ্রন্থ ব্যাখ্যা করতেও আহ্বান জানানো হয়।

Advertisement

এএফপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনের সংবিধান, অন্যান্য আইন বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয়ে প্রণীত আইন, চীনা দর্শন, চীনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের উপর ক্লাস নিতে বিবৃতির মাধ্যমে মসজিদের কর্মচারীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়।

চীনে রাষ্ট্রীয়ভাবে পাঁচটি ধর্মের স্বীকৃতি রয়েছে। এগুলো হলো বৌদ্ধ, ক্যাথলিক, প্রোটেস্ট্যানিজম, তাওবাদ ও ইসলাম। চীনের সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এসআর/পিআর