দেশের অবকাঠামো, জ্বালানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বিজনেস ডায়ালগে এ আগ্রহের কথা জানান থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সংস্কার ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী কোবসাক পুত্রাকুল।
Advertisement
রাজধানীর মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এ সময় ডায়ালগে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দা মুনা তাসনিম এবং থাই-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মিংপ্যান্ট ছায়াভিচিটসিল্প, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত প্যানপিমন সুয়ান্নাপংসে, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. মুনতাকিম আশরাফসহ এফবিসিসিআই পরিচালক ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড’ বন্ধুপ্রতিম এ দেশ দুটির মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য এখনও সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছেনি। তাই বাংলাদেশ সরকারের দেয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে তিনি থাইল্যান্ড প্রতিনিধি দলকে এ দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
Advertisement
থাইল্যান্ডের মন্ত্রী কোবসাক বলেন, বাংলাদেশ নিকট ভবিষ্যতে বিশ্বের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে অন্যতম বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে অভিহিত করেন এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানি, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ দেশের দ্রুত অবকাঠামো খাতের বিষয়ে উল্লেখ করে থাইল্যান্ড মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য গভীর সমূদ্রবন্দর স্থাপন বিশেষ জরুরি। পুত্রাকুল থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ওপরও গুরুত্ব দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য থাইল্যান্ডে রফতানি করে। এর বিপরীতে থাইল্যান্ড থেকে ৭৮ কোটি ১৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে।
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে ওভেন গার্মেন্ট, নিটওয়্যার, প্রকৌশল পণ্য এবং হোম টেক্সটাইল। আর থাইল্যান্ড থেকে মূলত প্লাস্টিক এবং রাবার উপাদান, খণিজ দ্রব্য, বস্ত্র ও বস্ত্র সামগ্রী এবং মেশিনারি আমদানি করা হয়।
Advertisement
এসআই/এমআরএম/পিআর