বিনোদন

খাবার ছুঁয়েও দেখেননি সালমান, মেঝেতে শুয়েই কাটিয়েছেন রাত

বলিউড সুপারস্টার সালমান খান এখন জোধপুর জেলে রয়েছেন। তার কয়েদি নম্বর ১০৬। জেলখানায় রাতে তাকে দেয়া হয়েছিন ডাল, চাপাটি আর সবজি। সকালে জলখাবারে খিচুড়ি। জেলের দেয়া এই খাবার নাকি তিনি ছুঁয়েও দেখেননি। তাহলে কি বৃহস্পতিবার রাত থেকে না খেয়েই আছেন সালমান? কোনো উত্তর মেলেনি জেল কর্তৃপক্ষদের তরফে। আর জেলের দেয়া খাটে নাকি ঘুমাননি সালমান। মেঝেতে শুয়েই রাত কাটিয়েছেন।

Advertisement

কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অপরাধে বৃহস্পতিবার তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন জোধপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার তার জামিনের শুনানি ছিল। কিন্তু কোনো ফয়সলা হয়নি। শনিবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে জামিনের আবেদন মামলার শুনানি। রায় দেয়া হতে পারে শনিবার। অর্থাৎ, হরিণ শিকার মামলায় জামিন পাবেন কি না সালমান খান, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে শনিবার পর্যন্ত। ফলে শুক্রবার রাতটাও জেলেই কাটাতে হবে সালমানকে।

বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণার পর আদালত থেকে সরাসরি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় সালমানকে। সেখানেই তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। প্রথম দিনে নাকি রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল তার। তবে, এখন রক্তচাপ স্বাভাবিক।

জেল সুপার বিক্রম সিংহ জানিয়েছেন, কাঠের বিছানা এবং কম্বল দেয়া হয়েছে সালমানকে। তার সেলে কুলারও রাখা হয়েছে। তা ছাড়া আর কোনো বিশেষ সুবিধা পাবেন না বন্দি সালমান। আর পাঁচটা সাধারণ কয়েদির মতোই তাকে থাকতে হবে। খেতে হবে জেলের খাবারই। তবে জেলের দেয়া খাটে নাকি ঘুমাননি সালমান। মেঝেতে শুয়েই রাত কাটিয়েছেন। এই জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই এখন রয়েছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। তার সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রয়েছেন সালমান। দুই নম্বর ব্যারাকের দুই নম্বর সেলে রাখা হয়েছে তাকে।

Advertisement

১৯৯৮ সালে জোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ১ অক্টোবর মাঝরাতে সইফ, তব্বু, সোনালি ও নীলমের সঙ্গে একটি মারুতি জিপসিতে বেরিয়েছিলেন সালমান। অভিযোগ, সেই সময়েই জোধপুরের কাছে বিশ্নোই সম্প্রদায়ের কঙ্কনি গ্রামে নিজের রাইফেল থেকে গুলি করে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন তিনি। বন্যপ্রাণি আইনে ২০ বছর ধরে মামলা চলে। প্রমাণের অভাবে একই মামলায় অভিযুক্ত বলিউডের অন্য চার তারকা সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে এবং নীলম কোঠারি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

সুত্র : আনন্দবাজার

জেডএ/পিআর

Advertisement