বৈবাহিক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে আইনি সংস্কার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে গুজরাট হাইকোর্ট। বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে দমন-পীড়নের মনোভাব থেকে ধর্ষণের মতো মুহূর্ত যেন তৈরি না হয় সে কারণে বৈবাহিক ধর্ষণকে বেআইনি ঘোষণা করাই একমাত্র উপায় বলে ঘোষণা দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
সম্প্রতি এক নারী চিকিৎসক তার চিকিৎসক স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও আনেন।
ওই এফআইআর বাতিলের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ওই নারীর স্বামী। সেই শুনানিতেই হাইকোর্ট থেকে বলা হয়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) বা ৩৭৭ (অপ্রাকৃতিক যৌন সংসর্গ) এই মামলায় কার্যকরী হবে না। কারণ ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের যে সংজ্ঞা আছে, তাতে বৈবাহিক ধর্ষণ অন্তর্ভূক্ত নয়। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৫৪ (যৌন নিগ্রহ) এবং ৪৯৮ ক (বৈবাহিক সম্পর্কে নির্যাতন) ধারা প্রয়োগ করা যেতে পারে বলে।
এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা বলেন, বর্তমান আইনি পরিসরে বৈবাহিক ধর্ষণের বিচার করা সম্ভব নয়। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের তালিকায় আনার ব্যাপারে যথেষ্ট আলোচনাও হয় না। বিবাহিত এবং অবিবাহিত নারী যদি সমানভাবে আইনি সুরক্ষা না পান, তা হলে বৈবাহিক ধর্ষণ ঠেকানো যাবে না। বৈবাহিক ধর্ষণকে বিধিবদ্ধভাবে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।
Advertisement
টিটিএন/পিআর