সারা ভারতজুড়ে সোমবারও দলিতদের বনধ চলছে। দিন দিন এটি বড় আকার ধারণ করছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অনেক স্থানে ভাঙচুর ও যানবাহন অবরোধের খবর আসছে। বিহার, পাঞ্জাব ও ওড়িশার একাধিক স্থানে রেল অবরোধেরও খবর পাওয়া গেছে।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষণ আইন শিথিলের জন্য এ বনধ ডাকে তারা। অল ইন্ডিয়া আদি ধর্ম মিশন এবং অল ইন্ডিয়া আদি ধর্ম সমাজ এ বনধ সমর্থন জানিয়েছে।
সরকারিকর্মীদের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ওপর অত্যাচার বন্ধের আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। তাই এখন থেকে আর নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ আইনে কোনো সরকারিকর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তফসিলি জাতি–উপজাতির ওপর অত্যাচারের কোনও মামলা দায়েরের আগে সেই ঘটনা ডিএসপি পর্যায়ের কোনও আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট গত ২০ মার্চ নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশনার বিরুদ্ধে ২ এপ্রিল ভারত বনধের ডাক দেয় পিস্যান্টস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি, ভারিপ বহুজন মহাসঙ্ঘ, সিটু, জাতি অন্ত সংঘর্ষ সমিতি, রাষ্ট্রীয় সেবা দল, ন্যাশনাল দলিত মুভমেন্ট ফর জাস্টিসসহ বিভিন্ন সংগঠন।
Advertisement
বনধের কারণে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ওড়িশার সম্বলপুরে একটি সংগঠনের সদস্যরা রেল অবরোধ করেন। পাঞ্জাবের সমস্ত স্কুল-কলেজ, ব্যাংক এবং যানবাহন পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ রাত ১১টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিসেবাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
এমএআর/পিআর