ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে গণহত্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নারকীয় হত্যাযজ্ঞের আলোকচিত্র প্রদর্শন করেন।
Advertisement
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে। এদিন বিকেলে কলকাতার বঙ্গবন্ধু সরণির বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস অফিসের অডিটোরিয়ামে সভাপতিত্ব করেন উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর মিয়া মহম্মদ মাইনুল কবির ও কাউন্সিলর শেখ সফিউল ইমাম। আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মৈত্রী সম্মাননা পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় অংশ নেন। উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরীহ সাধারণ জনতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনগুলোতে অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সৈনিক ও অন্যান্য স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তা সত্যিই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।
দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, ত্রিশ লক্ষ জনগণের আত্মত্যাগ ও বহু নারীর সম্ভমের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। যে ধর্মান্ধতার কারণে বাংলা ভাগ হয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা তা অনেকাংশে ঘুচিয়ে দিয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক মানুষগুলোই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনে এগিয়েছিল।
এমআরএম/এমএস
Advertisement