অর্থনীতি

ব্যবসায়ীরা বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চান : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিতে চান না। তারা বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চান। এসব ব্যবসায়ীদের লোভ একটু বেশি। বিশ্বের কোথাও এমনটি নেই।

Advertisement

রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বিসিএস (কাস্টমস অ্যঅন্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ৫০ হাজার ইসিআর মেশিন আমদানি করা হচ্ছে। যেসব ব্যবসায়ীরা এসব মেশিন ব্যাবহার করবে তাদের ভ্যাটের উপর ২ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।

এ সময় তিনি এনবিআরকে অনলাইনে ভ্যাট আদায়ে জোরদার করার তাগিদ দিয়ে বলেন, আগামীতে যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে তাতে ভ্যাটের দুই রকম হার থাকবে। আগামী বাজেটে নতুন কাস্টমস আইন উপস্থাপন করা হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভেতরে ভেরতে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কাজ চলছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভ্যাট আইন তো ১৯৯১ সাল থেকে রয়েছে। সরকার ২০১৯ সালে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করবে এটা স্বাভাবিক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, নিজের পয়সা থেকে ব্যবসায় পৃথিবীর কোথাও দিতে চায় না। আমাদের দেশে লোভ একটু বেশি। মাশুল দিয়ে তারা ব্যবসা করতে চান না। তারা কোনো ট্যাক্স দিতে চান না। নতুন আইনে ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট করা হয়েছিল। এছাড়া টেরিপ ভ্যালু বাদ দিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে সেটা ঠিকেনি। এখন আগামী যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে সেখানে ভ্যাটের হার একের অধিক রাখা হবে।

‘ইউকে প্রথমে এক রেটে ভ্যাট বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেখানে ৮-১০টা রেট রয়েছে। সুতরাং আমি ভ্যাটে কিছুটা হাই রেট রাখতে চায়, কিছুট লো রেট রাখতে চায়। আগামীতে যখন নতুন আইন বাস্তবায়ন করা হবে তখন ১৫ শতাংশ একটাতো থাকবেই ১৫ সালের নিচেও একটি রেট থাকবে।’

চলতি বছরের বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে তিনি বলেন, সবসময় এডিবি বাস্তবায়নে সমস্যা হয়। কিন্তু এবার এডিপির বাস্তবায়ন গত ৬ মাসে ৩৫ শতাংশ, যা খুব ভালো। অনেকেই বলছে বাজেট বাস্তবায়ন ভালো হবে না। তবে আমার বিশ্বাস বাজেট বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হবে। ৪ লাখ ২৬৬ কোট টাকা থেকে রিভিশন করে ৩ লাখ ৮৫ হাজার করা হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এটা আরও বেড়ে যাবে।

Advertisement

নির্বাচনের বছরের জন্য এ বাস্তবায়ন বেড়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিটি সপ্তাহে আমরা একনেক মিটিং করি। আমি প্লানিং কমিশনকে বারবার বলেছি আপনারা সবসময় বেশি বেশি বরাদ্দ চান কিন্তু টাকাতো খরচ করতে পারেন না। তবে এবার তারা এটা ওভারকাম করতে পেরেছে। অর্থাৎ আমাদের বাস্তবায়ন সক্ষমতা অর্জন করেছে।

রাজস্ব আদায় বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ১১-১২ শতাংশ কম হবে। কেন কমছে এ বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন কারণে হয়। তবে আমরা এসব বিষয় ওভারকাম করতে পারবো। এবারের রাজস্ব আদায় গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি হবে।

নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন কাস্টমস আইন বহুদিন ধরে কাজ চলছে। আগামী বাজেটে নতুন কাস্টমস আইন উপস্থাপন করা হবে।

এমইউএইচ/আরএস/জেএইচ/এমএস/জেআইএম