নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ পাঁচ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে প্রায় ১৫ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নূরুল কাদির।
Advertisement
মঙ্গলবার মতিঝিলে ‘জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজম ব্যবহারের মাধ্যমে নিম্ন কার্বন ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণে উৎসাহিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সহায়তায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদফতর, জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল স্ট্রাটেজিস (আইজিএস) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
নূরুল কাদির বলেন, জাপানের সহযোগিতায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ‘জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজম (জেসিএম)’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে তারা নিম্ন কার্বন নির্গমনে প্রযুক্তি গত সহায়তা দেবে। এছাড়া দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এ উদ্যোগে সম্পৃক্ত হতে আহ্বান জানান তিনি।
Advertisement
ঢাকা চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, নিম্ন কার্বন ব্যবহারের প্রযুক্তি সমূহ পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস এবং নতুন নতুন ব্যবসায় দ্বার উন্মোচন করেছে। তিনি পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প সমূহে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি মাসাটোসি হিগোচি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কার্বন নির্গমন কমানোর দায়িত্ব সকলের এবং বিশেষ করে শিল্প উদ্যোক্তাদের জেসিএম আরও বেশি হারে ব্যবহার করা দরকার।
কর্মশালায় ডিসিসিআই’র পরিচালক ইমরান আহমেদ, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জেসিএম জাপান সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত নিম্ন কার্বন ভিত্তিক উন্নয়ন অংশীদারিত্বের একটি প্রস্তাব বা মার্কেট মেকানিজম যার মূল লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক (দুই দেশের) উদ্যোগে নিম্ন কার্বন ভিত্তিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ জাপান এবং বাংলাদেশ সরকার নিম্ন কার্বন ভিত্তিক উন্নয়ন অংশীদারিত্ব বা জেসিএম বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। জেসিএম-এর মাধ্যমে নিম্ন কার্বন ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা হলে জাপান সরকার মোট প্রকল্প ব্যয়ের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান দিয়ে থাকে।
Advertisement
এসআই/এএইচ/এমএস