বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফল ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
Advertisement
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি মিছিল বের হয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাগর হোসেন সোহাগ, উপ আপ্যায়ন সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরান, এসএম হলের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল প্রমুখ।
Advertisement
সমাবেশে বক্তারা জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ও এর পিছনে মদতদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মো. সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আমরা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারী ও যারা এ হামলার পিছনে থেকে হামলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন থেকে যেখানে জঙ্গিবাদ জামায়াত শিবিরকে পাওয়া যাবে সেখানে গণধোলাই দেয়া হবে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাবে সেখানে গণধোলাই দিতে হবে। প্রতিটি ইঞ্চিতে তাদের খুজে বের করতে হবে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করতে পারিনি তারা এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে হবে।’
এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেশে কখনো স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির ও বিএনপির আস্তানা থাকতে পারে না। ছাত্রলীগ বেঁচে থাকতে তাদের ষড়যন্ত্র কোন ভাবেই সফল হবে না।’
মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘জাফর ইকবালের মতো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্বল করতে চায়। শেখ হাসিনাকে বেকায়দায় ফেলে দিতে এ হামলা করা হচ্ছে।’
Advertisement
এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এমন একজন বহুমাত্রিক প্রতিভাবান শিক্ষকের ওপর যে বা যারা হামলা চালিয়ে আহত করেছে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য হামলাকারীদের দ্রুত খুঁজে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি।’
এমএইচ/এমবিআর