ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী দাবি মানতে অপারগতা প্রকাশ করায় ভিসি অফিসের সামনে অবস্থান করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
আন্দোলনকারীরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমানের বহিষ্কার, ছাত্রী নিপীড়নের বিচার ও আন্দোলনের সমন্বয়ক মশিউরকে কেন পুলিশে দেয়া হলো এর কারণ স্পষ্ট করা।
এ সময় প্রক্টর ৭ দিনের মধ্যে নিপীড়নের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারের দাবিতে অনড় রয়েছে। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা এখনও প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে প্রক্টরকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা নিপীড়নকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বিচারের দাবি জানান। প্রশাসনকে মেরুদণ্ডহীন অ্যাখ্যা দিয়ে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
Advertisement
অধিভুক্ত ৭ কলেজ বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করেছে। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অধিভুক্তি বাতিলই সমাধান দাবি করে আন্দোলন অব্যাহত রাখে। আন্দোলনের তৃতীয় দিন ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ওইদিন আন্দোলন দমনে প্রশাসন ছাত্রলীগকে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
আর ছাত্রলীগ কর্তৃক উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্রীরা। মারধর করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ককে। এছাড়াও লাঞ্ছিত হয় সাংবাদিকরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় দেয়া হয় সমন্বয়ক মশিউর রহমান সাদিককে।
এমএইচ/এএসএস/জেএইচ/আরআইপি
Advertisement