জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাকে ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হবে না বলে বলেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপনে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আদালতে যুক্তি উপস্থানে বলেন, ‘এই মিথ্যা মালায় খালেদার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। পৃথিবীতে যারা রাজনীতি করে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরাও জেল খেটেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি প্রথম দিনে খারিজ হওয়ার উচিত ছিল। কিন্তু এটা এখনো চলছে, তা অস্বাভাবিক।’
এর আগে আজ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। এ সময় জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা প্রদান করেন তিনি। পরে বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।
Advertisement
এর আগে ১১ জানুয়ারি ৯ম দিনের মতো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থান করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এ দিন তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। অপরদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও যুক্তি উপস্থাপনের জন্য একই দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
Advertisement
জেএ/আরএস/জেআইএম