ষাট পেরিয়েছেন সেই কবে। এরপর অশীতিপর। তারপর পেরিয়েছেন শতকও। বার্ধক্য থামাতে পারেনি ভোলার আব্দুল মান্নানকে। তাই শত বছর পার হলেও আল্লাহর রহমতের আশায় তিনি বিশ্ব ইজতেমায় এসেছেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়ে নিজের আত্মতৃপ্তি আর বুক ভরা আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি।
Advertisement
তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোলার আব্দুল মান্নানের বয়স ১১০ বছর। পেশায় কৃষক। তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জনক তিনি। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বিশ্ব ইজতেমায় আসছেন। শতবছর পার করলেও এখনও স্বাভাবিকভাবেই জীবন-যাপন করছেন তিনি। হাসি-খুশি থাকেন আর বাচ্চাদের সঙ্গে দুষ্টমি করে কথা বলেন। দাঁত দু-একটি ভেঙেছে। বাকিগুলো মজবুত। তাই চিবিয়েই খেতে পারেন পান-সুপারি।
তিনি জানান, গত চার দিন ধরে তাবলিক জামাতের প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। শীতের মধ্যে চটের পাতলা ছাউনির নিচে রাত কাটিয়েছেন। আল্লাহর রহমত লাভের আশায় দিন-রাত বিরামহীন ইবাদত করে যাচ্ছেন। বার্ধক্য তাকে থামাতে পারেনি। পরিবারে তার তিন ছেলে তিন মেয়ে। তিনি ও তার স্ত্রী রয়েছেন। ছেলে-মেয়েকে ইসলামী শিক্ষা দিয়েছেন। সবার বিয়েও দিয়েছেন। পরিবারে এখন শুধু তিনি আর তার স্ত্রী থাকেন।
তিনি আরও বলেন, 'আর তো বেশি দিন বাঁচমু না। তাই আল্লাহর রাস্তায় নামছি। যতদিন বাঁইচা থাকমু ততদিন ইবাদত কইরা মরতে চাই। এ কারণে জীবনের কথা ভাবি না। আল্লাহ যদি আমগো দিকে ফিরা তাকায় তয় আমার খুশি।' সেই কারণে ঘর-সংসার ছেড়ে বিশ্ব ইজতেমায় এসেছেন বলে জানান।
Advertisement
এমএইচএম/এসএইচএস/এমএস