দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ডের পর তা কিছুটা বাড়লেও কমছে না শীতের দাপট। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ আর শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। সোম ও মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মিললেও বুধবার থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে আকাশ।
Advertisement
সেইসঙ্গে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় দুস্থ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কমে গেছে ক্রেতাদের সমাগম।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে, আজ সকাল ৬টায় রংপুরে সর্বনিম্ন ৭.৫ ডিগ্রি এবং ৯টায় ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে বেড়ে গেছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ। গত কয়েকদিনের তুলনায় হাসপাতালগুলোতে রোগির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাজাহান মিয়া জানান, তীব্র শীতের কারণে বেচাবিক্রি কমে গেছে তার দোকানে। হাড় কাঁপানো শীতে জীবিকার প্রয়োজনে দোকান খুলে বসে থাকলেও তাতে লাভ হচ্ছে না।
Advertisement
বাবু খাঁ এলাকার গৃহিণী আসমা বেগম সাতসকালে উঠেই ছোট্ট ছেলেটিকে নিয়ে ছুটছেন হাসপাতালে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে সর্দি-কাশিতে ভুগছে তার দেড় বছর বয়সী ছেলে তাহসীন। উপায় না দেখে চিকিৎসার জন্য ছেলেকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যাচ্ছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. আবদো আক্তার বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা ভর্তি হলেও এতে আতঙ্কের কিছু নেই। শিশুদের প্রতি সচেতনতা বাড়াতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, জেলার আট উপজেলায় তাদের বিশেষ মেডিকেল টিম কাজ করছে। শীত মৌসুম এলে রোগ-বালাই কিছুটা বাড়লেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজন ছাড়া শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের ঘরের বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেন দিনি ।
জিতু কবীর/এফএ/পিআর
Advertisement