নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮ শুরু হলেও এখনো বাকি অনেক স্টল ও প্যাভিলিয়নের নির্মাণ কাজ। উদ্বোধনের তিনদিন পরও প্রায় ৩০ শতাংশ স্টল ও প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই বিদেশি।
Advertisement
এখনো এসব স্টলের নির্মাণ কাজ চলায় মেলার ভেতরের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দর্শনার্থীদের। তবে দু-একদিনের মধ্যে অসমাপ্ত কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে, দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএলসহ অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান মেলায় প্যাভিলিয়ন ও স্টলের কাজ শুরুর আগেই শেষ করেছে। প্রথম দিন থেকে এসব স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, এবার মেলায় ৫৮৯টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলো তৈরির প্রস্তুতি আগে থেকেই নেয়া হয়। এরপরও কিছু স্টলের কাজ বাকি রয়েছে। দ্রুত তা শেষ করে চালুর তাগাদা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে সব স্টলের কাজ শেষ হবে।
Advertisement
‘এবার অনেকটা ভিন্নভাবে সাজানোর কারণে ক্রেতা আকর্ষণ বেশি হবে এবং মেলা জমে উঠবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে অনুষ্ঠিত এ মেলার মূল গেট এবার পদ্মা সেতুর আদলে করা হয়েছে। ভিআইপি গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে বাঁ-দিকে যেতেই দেখা যায় অনেক স্টলের নির্মাণ কাজ চলছে। আর মাঠের পূর্ব-দক্ষিণ পাশ থেকে পশ্চিম দিকে এগোতেই দেখা যায় এক জায়গায় ১৬টি স্টল ফাঁকা পড়ে আছে। দু-একটিতে পণ্য গোছানোর কাজ করছেন বিক্রয়কর্মীরা। কিছু স্টল প্রস্তুত করতে কাজ করছেন শ্রমিকরা।
মেলা চলাকালে এসব স্টলের নির্মাণকাজ চলতে থাকায় বিরক্ত প্রকাশ করেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তারা বলছেন, সাব কাজ সম্পন্ন করেই মেলার উদ্বোধন প্রয়োজন ছিল। কারণ মেলায় আসা হয় প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার পাশাপাশি একটু শান্তিতে ঘোরাফেরার জন্য। কিন্তু এসে যদি স্টল নির্মাণের শব্দে কান ভোতা হয়ে যায় তাহলে তো সব আনন্দই মাটি।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা দর্শনার্থী বোরহান উদ্দীন বলেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করে মেলার উদ্বোধন ঠিক হয়নি। তৃতীয় দিনও যাদি কাজ শেষ না হয়, তাহলে ৩০ টাকা দিয়ে প্রবেশ করানোটা প্রতারণার শামিল।
Advertisement
এমইউএইচ/এমবিআর/এমআরএম/জেআইএম