রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে শাহী আম্মানা শোভা হল থেকে বের হয়েছিলেন স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষা দেয়ার জন্য। হলের গেট থেকে ৫০ গজ এগোতেই তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
শোভা নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি এলাকার আমজাদ হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী সোহেল রানা পেশায় একজন আইনজীবী। সোহেলের বাড়ি জেলার আরেক উপজেলা পত্নীতলার নজিপুরে।
ঘটনার বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান জানান, গত ডিসেম্বরে শোভা ও সোহেলের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তাদের ডিভোর্স হয়েছে। ডিভোর্সের দুই মাস চলছে। তিন মাস হলে নাকি ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যায়। তবে সোহেল চাচ্ছে ডিভোর্স যেন না হয়। সেজন্য আজ সকালে সে মাইক্রোবাস নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে। সকালে বান্ধবীসহ পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল শোভা। এ সময় পথে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে সোহেল। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জোর করে শোভাকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রক্টর বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাবকে জানিয়েছি। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখেছি- গাড়িটি মেইন গেইট ও কাজলা গেইট দিয়ে বের হয়নি। তবে চারুকলা দিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়ের বাবা এসেছে। মামলার বিষয়টি তিনিই দেখবেন।
এ বিষয়ে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে- মেয়েটিকে তার স্বামীই নাকি নিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছে তাদের খোঁজাখুঁজি করতে। আমরা সব জায়গায় মেসেজ দিয়েছি।
Advertisement
রাশেদ রিন্টু/আরএআর/আইআই