জিংকসমৃদ্ধ চাল বাজারজাত করবে দেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণ’। ভোক্তাদের কাছে উচ্চ জিংকসমৃদ্ধ চাল সহজলভ্য করতে এখন থেকে যৌথভাবে কাজ করবে প্রাণ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হারভেস্টপ্লাস। এ লক্ষ্যে বুধবার রাজধানীতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে হারভেস্টপ্লাস’র পরিচালক (রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট) উলফগ্যাঙ পিফিফার বলেন, মানুষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধে অন্যতম পুষ্টি উপাদান হলো জিংক। এর অভাবে বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ শতাংশ শিশু ও ৫৭ শতাংশ নারী মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগে। এছাড়া ৪৪ শতাংশ কিশোরীর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
তিনি আরও বলেন, জিংকসমৃদ্ধ চাল ভোক্তাদের দৈনন্দিন জিংকের চাহিদার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে সক্ষম। এ জন্য হারভেস্টপ্লাস এ ধানের উন্নয়ন ও গবেষণায় কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত চার ধরনের জিংকসমৃদ্ধ ধান উদ্ভাবিত হয়েছে।
প্রাণ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা জানান, জিংকসমৃদ্ধ ধান উৎপাদনে ৬২টি জেলায় কৃষকের সঙ্গে কাজ করছে হারভেস্টপ্লাস। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে হারভেস্টপ্লাস’র সহায়তায় জিংকসমৃদ্ধ ধান ক্রয় করে বাজারজাত করবে প্রাণ। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির নিশ্চয়তা পাবেন। অন্যদিকে ভোক্তারা সহজেই বাজার থেকে এ চাল সংগ্রহ করতে পারবেন।
Advertisement
প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন ও হারভেস্টপ্লাস’র পরিচালক উলফগ্যাঙ পিফিফার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার খায়রুল বাশারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান সিজিআইএআর’র একটি উদ্যোগ হলো হারভেস্টপ্লাস, যা এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে খাদ্যশস্যে জিংক, লৌহ, ভিটামিন ‘এ’ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।
জেডএ/জেআইএম
Advertisement