দৈনিক বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ ওএমএসের আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। যদিও মানুষ এ আতপ চাল কিনছে না বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
Advertisement
সোমবার সচিবালয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (ডিসি ফুড) সঙ্গে বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওএমএসে সারাদেশে দিনে দুই হাজার ১০৫ টন আতপ চাল বরাদ্দ দেয়া হয়, বিক্রি হয় দেড় হাজার টন। ঢাকায় প্রতিদিন ১২০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় ৯০ টন চাল বিক্রি হয়েছে।’
‘অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বরাদ্দের ৭৫ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে। ওএমএসের চাল বিক্রি হচ্ছে না এই খবরটা সঠিক না’-বলেন তিনি।
Advertisement
চালের দাম বাড়ার পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে খোলাবাজারে আতপ চাল বিক্রি শুরু করে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষ সিদ্ধ চালের ভাত খায় বলে আতপ চালের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গত এপ্রিলে সাত লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত ছিল। হাওরে অকাল বন্যা, সারাদেশে দুর্যোগ, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আশাতীতভাবে বোরো সংগ্রহ করতে পারিনি। তাই মজুত একেবারে কমে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টেন্ডার ও সরকারিভাবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি। এখন সন্তোষজনক মজুত রয়েছে। দিন দিন মজুত আরও বাড়বে।’
রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণসহ সরকারি বিভিন্ন খাতে খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি মাসে এক লাখ ২০-২৫ হাজার টন চাল লাগছে। এখন কোনোরকম অসুবিধা হচ্ছে না।’
বৈঠকে খাদ্য সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আরএমএম/জেডএ/এমএস