গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুই রোহিঙ্গা যুবক। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের এমএসএফ ক্লিনিকে তাদের মৃত্যু হয়।
Advertisement
এমএসএফ ক্লিনিকে মারা যাওয়া রোহিঙ্গা যুবকের নাম হাফেজ হারুন (৩৫)। তিনি মিয়ানমারে মংডুর শাহাববাজার এলাকার শামশুল আলমের ছেলে। আর চমেক হাসপাতালে মারা যাওয়া মো. মুসা (২২) মংডুর জেদিন্না থানার মেহেন্দি এলাকার ইসমাইলের ছেলে।
কুতুপালং রেজিস্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাফেজ হারুন শুক্রবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। ক্যাম্পে অবস্থান করা স্বজনদের মাধ্যমে তিনি কুতুপালং এসে এমএসএফ ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। বেলা ২টার দিকে জানাজা শেষে রেজিস্টার ক্যাম্পের ডি-ব্লক এলাকার কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
অপরদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা মুসা ও মোকতার নামে অপর দুজনকে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুসা মারা যান।
Advertisement
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন রোহিঙ্গা মুসা। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে শনিবার সকাল ৭টায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোহিঙ্গাদের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মংডুর লাইলাতলী বিজিপি ক্যাম্প এলাকায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হন এবং শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নৌকাযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম
Advertisement