২০১২ সালের ১২ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে হঠাৎ করে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এতে নতুন ভিসা ইস্যু ও অভ্যন্তরীণ ট্রান্সফার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন বাংলাদেশিরা। ভিসা বন্ধের পাঁচ বছর পূর্ণ হলো আজ। বিভিন্ন সময়ে ভিসা চালুর আশ্বাস দেয়া হলেও গত পাঁচ বছরেও এই জটিলতার অবসান হয়নি। ফলে হতাশায় ভুগছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
Advertisement
ভিসা বন্ধ থাকার কারণে ক্রমাগত ভোগান্তি বাড়ছে প্রবাসীদের। কর্মস্থলে নানা জটিলতা থাকার পরও অভ্যন্তরীণ ট্রান্সফার সুবিধার অভাবে মালিক পরিবর্তন করতে পারছেন না সাধারণ শ্রমিকরা। বাংলাদেশ থেকে কোনো মন্ত্রী আমিরাত সফরে গেলে নতুন আশার আলো বা ইতিবাচক হিসেবে সেই সফরকে দেখে আসছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আমিরাতে ভিসা বন্ধ হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরব আমিরাতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই সফরে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দেয়নি আমিরাত। ফলে কার্যত কাজে আসেনি রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের সেই সফর। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে আর কোনো সফর হয়নি।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় আমিরাতের কনস্যুলার অফিস উদ্বোধন এবং ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর আমিরাত শ্রম মন্ত্রণালয়ের ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আবুধাবিতে ‘এশিয়া কো-অপারেশন ডায়লগ’(এসিডি)-এ যোগ দিতে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা সহজ করার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
Advertisement
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি গত ১৬ মে আমিরাতের মানবসম্পদ ও উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী সাকর ঘোবাস সাঈদ ঘোবাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ভিসা চালুর ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে নারী কর্মী এক লাখ ২৩ হাজার ৯৮৫ জন।
এআরএস/ওআর/এমএস
Advertisement