প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'হজ ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের অনিয়ম দূর করেছি। এখন হাজিদের প্রতারণা কিংবা ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। ওমরাহ নীতিও করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত হবে।' গতকাল শনিবার রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'কোথায় কোথায় সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। সৌদি সরকারকে জানিয়েছি। হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে হজ মিশন মক্কায় স্থানান্তর করা হয়েছে।' এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, হাজি সাহেবরা আল্লাহর ঘরের মেহমান। বর্তমান বাজেটে এয়ারপোর্ট ট্যাক্স বৃদ্ধি করার কারণে অতিরিক্ত এক হাজার টাকা হাজি সাহেবদের গুণতে হতো। কিন্তু হজ প্যাকেজ আগেই ঘোষণা করার ফলে এ টাকার কথা আগে উল্লেখ করা হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এক হাজার টাকা খুব বেশি টাকা না। এ টাকা আপনারা দিতে পারবেন। তবুও আমি অর্থমন্ত্রীকে বলে দিয়েছি যেন অতিরিক্ত টাকা হাজি সাহেবদের কাছ থেকে আদায় করা না হয়।
Advertisement
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরব যাচ্ছেন। পবিত্র হজব্রত পালন করতে গিয়ে হাজিরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তা চিহ্নিত করে সমাধান করা হয়েছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনসহ (নিবন্ধন) সর্বোচ্চ তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে এবারের হজ ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা সময় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। হজ এজেন্সিগুলো নানা ধরনের প্রতারণা করে থাকে। হজে গমনেচ্ছুদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় অনেক সময়। এছাড়া যে ধরনের সুযোগ-সবিধা দেয়ার কথা বলা হয় শেষ পর্যন্ত অনেকক্ষেত্রে সেটি দেয়া হয় না। তাছাড়া বিমানবন্দরেও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক সময় ফ্লাইট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এছাড়া লাগেজ হারানো, দেরিতে পাওয়া, জমজমের পানি পাওয়া নিয়েও দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এসব ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী হজক্যাম্প উদ্বোধন করতে গিয়ে জানালেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখন এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এবার হজযাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এই বিপুলসংখ্যক হজযাত্রী যাতে কোনো ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই পবিত্র হজব্রত পালন করতে পারে সেটি নিশ্চিত করাই এখন সংশ্লিষ্টদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
Advertisement
এইচআর/এমএস