ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে নেমেছে মানুষের ঢল। এদিন জাদুঘরে টিকেট বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজারের ওপরে। যা আগের দিন মঙ্গলবার (ঈদের পরের দিন) হয়েছিল ১০ হাজারের ওপরে। তবে কর্তৃপক্ষের আশা আগামী শুক্র ও শনিবার পর্যন্ত দর্শনার্থীদের এ চাপ অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
জাদুঘরের প্রধান নিরপত্তা কর্মকর্তা মো. সুলতান মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, ঈদের পরের দিন ১০ হাজারের ওপরে টিকেট বিক্রি হয়েছিল। তৃতীয় দিনে ১৩ হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছে। এবারই রেকর্ড সংখ্যাক টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে জানন তিনি। তবে এর আগে এত বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে কিনা এর সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বৃহস্পতিবার জাদুঘরে সপ্তাহিক ছুটি থাকায় পরেদিন শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাদুঘর আবার খোলা হবে।
জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার নূরে নাসরিন জাগো নিউজকে জানান, ঈদের পরের দিন বেলা ৩টার দিকে খোলা হলেও জাদুঘরে বিশ হাজারের বেশি দর্শনার্থী ছিল। মঙ্গলবারে মোট ১০ হাজার দুইশত ৪৫টি টিকেট কেটেছে দর্শকরা। তবে প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য টিকেট না লাগলেও শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ এবং বিদেশি দর্শকদের জন্য একশত টাকা লাগে।
Advertisement
ঈদের ছুটিতে রাজধানীর ব্যস্ততম শহরের কোথাও কোন যানজট নেই। কিন্তু জাতীয় জাদুঘরের সামনে রিকশা, হকার, সিএনজি, মটরসাইকেল, প্রাইভেটসহ মানুষের হাকডাক রয়েছে।
দর্শনার্থীদের প্রবেশ গেটে দাঁড়ানো নিরাপত্তা কর্মী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন, ঈদ ছাড়াও পহেলা বৈশাখ এবং অন্যান্য উৎসবে দর্শনার্থীর চাপ এমন বেড়ে যায়। জাদুঘরের নিরাপত্তার ভিতরে এবং বাইরে রয়েছে সিসি ক্যামেরা এবং ডিটেক্টিভ মেশিনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে লোকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
বিক্রমপুর থেকে বাবার সঙ্গে ঘুরতে আসা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রামীম বলে, জাদুঘর ছাড়াও শিশুপার্কে অনেক রাইডে চড়েছি। জাদুঘরে আব্বুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পায়ে ব্যাথা হয়ে গেছে। আব্বু জাদুঘরে শুধু দেখে আর সব পড়ে।
পরিবারের সঙ্গে পাবর্ত্য অঞ্চল থেকে ঘুরতে আসা চট্টগ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র আমানাত জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলর সময় জানায়, এর আগেও জাদুঘর দেখেছে। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে আসার মজাই আলাদা, সেই মজার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায় সে।
Advertisement
এফএইচ/এএইচ/পিআর