আন্তর্জাতিক

কাতারকে হামাস, ব্রাদারহুডের সমর্থন বন্ধ করতে হবে : সৌদি

কাতারকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের ইসলামি মৌলবাদি সংগঠন হামাস এবং মিসরের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমর্থনের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে রিয়াদ নেতৃত্বাধীন আট দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের পর সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের এ মন্তব্য করেছেন।

Advertisement

মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুড, হামাস, ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন, আর্থিক ও অস্ত্র সহায়তার অভিযোগ রয়েছে কাতারের বিরুদ্ধে।

কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার পর কাতারের আমির সৌদি বাদশাহ’র সমালোচনা করেছেন এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। হ্যাকারদের এই সাইবার হামলার জেরে দেশটির সঙ্গে অারব বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে গত কয়েক বছরের মধ্যে বড় ধরনের কূটনৈতিক সংকট ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের প্যারিসে সাংবাদিকদের বলেন, কাতারকে কেউ আঘাত করতে চায় না। তাদেরকে বেছে নিতে হবে আমাদের এই সিদ্ধান্ত পছন্দ না কি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত চায় তারা। আমরা বাধ্য হয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাতার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা টেকসই নয় এবং অবশ্যই তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি না এটা কোনো ভালো কাজ। কাতারের উচিত, তাদের সেই নীতি বর্জন করা; যাতে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় থাকে।’

‘সাধারণ বিবেচনা ও যুক্তিতেই বোঝা যাচ্ছে কাতারকে এখন কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা অত্যন্ত কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছি; এজন্য কাতারকে বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি না কাতার সে মূল্য দিয়ে টিকে থাকতে পারবে’- বলেন তিনি।

এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, কাতারের প্রতি সৌদি আরবের এ ধরনের পদক্ষেপ দেখে তারা বিস্মিত হয়েছে। তবে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়টি ভালো হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কাতারের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদেরও তিনি এ সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কাতারকে বিচ্ছিন্ন করে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। তবে এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে কাতারের ধীরস্থির পদক্ষেপ এবং গঠনমূলক পদ্ধতির প্রশংসা করেন তিনি।

Advertisement

উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এরপর সে তালিকায় যোগ দিয়েছে জর্ডান।

সূত্র : আল-জাজিরা।

কেএ/এসআইএস/পিআর