তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ সম্পর্কে দেশের ২৫ হাজার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ২৫ হাজার কর্মকর্তাকে এ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হবে।
Advertisement
তথ্য অধিকার আইন অবহিত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে সরকারি কর্মকর্তাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষের ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক মো. গোলাম রহমান।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার ও অধ্যাপক খুরশিদা বেগম প্রমুখ।
Advertisement
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনের গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ভূঁইয়া মো. আতাউর রহমান। আর অনলাইনে প্রশিক্ষণের পটভূমি ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন এমআরডিআই-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন করতে এবং দক্ষতা উন্নয়নে কর্মকর্তাদের মাঝে প্রচারণামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।
‘তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিকরাও বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন। তাই সরকারি কর্মকর্তাদেরও এ ব্যাপারে আরও দক্ষতা অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মরতুজা আহমদ বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলো এ বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। দেশের গণমাধ্যম এ ব্যাপারে বিরাট অবদান রাখতে পারে।
Advertisement
সভাপতির বক্তব্যে ড. গোলাম রহমান বলেন, বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ইতিহাসে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন একটি অনন্য ঘটনা। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে তথ্যকে বন্দি না করে তা সবাইকে জানাতে হবে।
‘দুই ঘণ্টা ২০ মিনিটে একজন কর্মকর্তা অনলাইনে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে তারা এ আইনটি সম্পর্কে অনেক বেশি দক্ষ হয়ে উঠবেন।’
তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক এ অনলাইন প্রশিক্ষণের কোর্সটি তৈরি করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৯ মার্চ জাতীয় সংসদে তথ্য অধিকার আইনটি পাস হয়। যা কার্যকর হয় ১ জুলাই থেকে।
এমইউএইচ/এমএমএ/এএইচ/এমএস