যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেয়ার দিনই তার নিজ দেশে যেমন বিক্ষোভ হয়েছে, একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। লাখো মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরোধিতা করে সারা বিশ্বে শনিবার অন্তত ৬শ সমাবেশ হয়েছে। এসব সমাবেশে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। খবর বিবিসির। মূলত নারী অধিকারের বিষয়টি সামনে রেখে এসব বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ভয়, ট্রাম্প প্রশাসনের সামনে হুমকির মুখে রয়েছে নারী অধিকারের বিষয়টি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিয়ে প্রচারিত সংবাদে তথ্যের বিষয়ে কিছুটা অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। তার দাবি, এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যত মানুষ এসেছিলেন গণমাধ্যমে তার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়নি।তবে বিক্ষোভের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমাবেশটি হয়েছে ওয়াশিংটনে। এতে ৫ লাখের বেশি মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। আয়োজকদের আশা ছিল এই সমাবেশটিতে বড় জোড় ২ লাখ মানুষ যোগ দিতে পারেন। অনেকের হিসেবে, ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যত মানুষ যোগ দিয়েছিলেন তার বেশি মানুষ যোগ দেন বিক্ষোভ সমাবেশে। বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পনা ছিল হোয়াইট হাউস অভিমুখে মার্চ করার। তবে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা এত বেশি ছিল যে শেষ পর্যন্ত তা আর করা যায়নি। এছাড়া শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেসেও হয়েছে একই ধরনের বিক্ষোভ। শিকাগোর বিক্ষোভে দেড় লাখের মতো মানুষ এক হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক, সিয়েটল, বস্টোন এবং মিয়ামিতেও মানুষ নেমে এসেছিল রাস্তায়। যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বেলফাস্ট, কার্ডিফ, এডিনবার্গ, লিডস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার এবং ব্রিস্টলেও ট্রাম্পবিরোধী সমাবেশ হয়েছে। লন্ডনের সমাবেশে মানুষের সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার থেকে ১ লাখের মধ্যে। এরআগেই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ছাড়াও এশিয়ার কয়েকটি দেশে ট্রাম্পবিরোধী সমাবেশ হয়েছে। ইউরোপের মধ্যে বার্সেলোনা, রোম, অ্যামস্টারডাম, জেনেভা, বুদাপেস্ট, প্রাগ এবং বার্লিনে ট্রাম্পবিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন মানুষ। এনএফ/এমএস
Advertisement