জাতীয়

সন্ধ্যায় বিশ্রাম নিতে চাইলেও পারেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী পদে যারা থাকেন তাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তাদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভাবনা মন্ত্রী হয়ে খুব আরাম আয়েশে দিন কাটান। মোটা অঙ্কের সরকারি বেতন-ভাতা, গাড়ি, বাড়ি ও নিরাপত্তারক্ষী বেষ্টনিতে খুব সুখে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে কি তাই?বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আর দশটা মন্ত্রীর চেয়ে তাকে অনেক বেশি ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। বিশেষ করে বিগত কয়েক বছর ধরে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বিভিন্ন বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যক্ষেণ করতে হচ্ছে তাকে।ব্যস্ত এ মানুষটি একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো সরকারের একজন ক্ষমতাবান মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও এতটুকু অহঙ্কার নেই। যেকোনো বিষয়ে নরম সুরে দৃঢ়তা নিয়ে কথা বলেন তিনি। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অধিকাংশ সংবাদকর্মীর কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয়। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের জন্য বা মোবাইলে পাওয়ার জন্য যখন অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয় তখন খুব সহজেই পাওয়া যায় তাকে।গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে যদি কখনও না পাওয়া যায় তাতেও তারা অসন্তুষ্ট নই। কারণ তিনি সময় মতো কলব্যাক করেন।মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত তিন বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ না করার বিষয়টি তাকে সুষ্ঠুভাবে মন্ত্রণালয় পরিচালনায় সহায়তা করেছে।’ তিনি আরও জানান, তার দায়িত্ব পালনকালে কোনো অপরাধীকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ পাননি।ক্র্যাব নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদিন ছুটোছুটি করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে একটু নির্বিঘ্নে বিশ্রাম (মাগরিবের নামাজের পর থেকে এশার আজান পর্যন্ত) নিতে মন চায়। কিন্তু অধিকাংশ সময় বিশ্রাম নেয়া হয়ে ওঠে না। ওই সময়টাতে বেশি ফোন আসে।তবে কখনও ফোন ধরতে না পারলে পরবর্তীতে কলব্যাক করেন বলেও জানান তিনি।এমইউ/আরএস/আরআইপি

Advertisement