রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ড আবারো দেখিয়ে দিল অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার দিক থেকে আমরা এখনো কতটা পিছিয়ে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ডিএনসিসি মার্কেট ও কাঁচাবাজারের মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রতিটি দোকান মালিকের অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। গত সোমবার মধ্যরাতে আগুন লাগলেও তা নেভাতে ১৬ ঘন্টার বেশি সময় লেগেছে। শুধু তাই নয় গতকাল বুধবার সকালেও পুড়ে যাওয়া মার্কেট থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণে আনে।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দোতলা এই মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আমদানি করা খাদ্যপণ্য, প্রসাধনী, পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও গয়নার আড়াইশ’র মতো দোকান ছিল। নিচতলায় একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল আসবাবপত্রের দোকান। কিন্তু মার্কেটে ছিল না পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মার্কেট হওয়ায় তা খুব সহজেই ধসে পড়ে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যে কোনো কারণে আগুন লাগতেই পারে। তবে তা নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা অত্যাবশ্যক। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু এখনো তা কাঙ্খিত মাত্রায় পৌঁছেনি। আগুন নেভানোর প্রধান উপকরণ পানির প্রাপ্যতাসহ রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা।পানির স্বল্পতা অগ্নিকাণ্ডকে প্রলম্বিত করে। রাজধানীতে প্রয়োজনীয় জলাশয় না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া পানির উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে। এতে নিমিষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে সব পানি। এজন্য পানির উৎস বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া শুধু পানির উপর নির্ভর না করে ফোম বা আগুন নেভানোর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতে হবে।যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন তাদের বিষয়টিও দেখতে হবে। প্রয়োজনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আগুন লাগার কারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আছে। ফলে দুর্ঘটনা না নাশকতা এই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্যোগ এড়ানো যায় সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এইচআর/আরআইপি
Advertisement