১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে যে ছাত্র সংগঠনটির জন্ম, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বুধবার ঊনসত্তর বছর পূর্ণ করছে সেই ছাত্র সংগঠনটি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন এর নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’। পাকিস্তান আমলেই ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর নাম হয় ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।প্রতিষ্ঠালগ্নে নঈমউদ্দিন আহম্মেদকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর আরমানিটোলায় ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলনে দবিরুল ইসলাম সভাপতি ও মোহাম্মদ আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।স্বাধীনতার ৬ মাসের মাথায় ছাত্রলীগে ভাঙন দেখা দেয়। তবে ১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান কমিটি পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছেন ১৫ জন। কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ছিলেন ১ জন। সাবেক এই ছাত্র নেতাদের মধ্যে অনেকে বেঁচে নেই। কেউ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে। পদহীনও রয়েছেন বেশ কয়েকজন। দশম জাতীয় সংসদে সদস্য হয়েছেন ৫ জন। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় আছেন একজন।১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন নুরে আলম সিদ্দিকী। বর্তমানে তিনি প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক। তার সময়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন শাজাহান সিরাজ। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৬ মাসের মাথায় এই দুজনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগে ভাঙন দেখা দেয়।এর মধ্যে ‘মুজিববাদি’ হিসেবে পরিচিতি অংশের নেতৃত্বে থেকে যান নুরে আলম সিদ্দিকী। আর শাজাহান সিরাজের অংশটি ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী’ পন্থী হিসেবে পরিচিত হয়। এই অংশটি পরবর্তী সময়ে জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগ নামে আত্মপ্রকাশ করে। শাজাহান সিরাজ ছাত্র রাজনীতি শেষ করে যোগ দেন জাসদের রাজনীতিতে। তিনি জাসদের হয়ে ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর যোগ দেন বিএনপিতে। ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান পদে। ৮ম সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দল ও রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।এরপর ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির পদে ছিলেন শেখ শহীদুল ইসলাম। তিনি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে। শেখ শহীদুল ইসলাম পরে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বর্তমানে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদে আছেন। তার সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এম এ রশিদ। তার পৈতৃক নিবাস পটুয়াখালী। তিনি বর্তমানে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত।১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মনিরুল হক চৌধুরী। তিনি পরবর্তী সময়ে বিএনপিতে যোগ দেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নিজ জেলা কুমিল্লা। মনিরুল হক চৌধুরী সভাপতি থাকাকালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিউল আলম প্রধান। সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থাতেই হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সভাপতি। অসুস্থ হয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের পর জাতীয় ছাত্রলীগ ছাড়া সব ছাত্র সংগঠন বিলুপ্ত হয়ে যায়। জাতীয় ছাত্রলীগের সভাপতির কোনো পদ না থাকায় সাধারণ সম্পাদক হয়ে পুনরায় আসেন শেখ শহিদুল ইসলাম। এরপর ১৯৭৭ সালে জাতীয় ছাত্রলীগ থেকে আবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগে রূপান্তরিত হয়। যার আহ্বায়ক পদে ছিলেন এম এ আউয়াল। তার পৈতৃক নিবাস নারায়ণগঞ্জে। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। এরপর ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও অন্যান্য পদে ছিলেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বাহালুল মজনুন চুন্নু। বর্তমানে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে না থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে আওয়ামী প্যানেলের নির্বাচনী দেখভালের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান তিনি।১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি হন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করা মোস্তফা জামাল চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএর ৩ বারের নির্বাচিত সেক্রেটারি। ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। বর্তমানে বিএমএর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন। তিনি দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। বর্তমানে ব্যবসায়ী। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার আগেও একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন আবদুল মান্নান। ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা এই ছাত্র নেতা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ায় সারিয়াকান্দি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে একজন কৃষিবিদ হিসেবে পরিচিত। মান্নানের সভাপতির সময় সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। ডাকসু নির্বাচনে জিএস পদে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। নবম সংসদে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দায়ত্বি পান স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। দশম সংসদের সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তিনি।১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে তিনিই প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি নিজ এলাকা মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুর রহমান। নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। রাজনীতির বাইরে তিনি শেয়ার মার্কেটের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি হন হাবিবুর রহমান। পরে ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন বিএনপিতে। তার সময় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন অসীম কুমার উকিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক। দশম সংসদে মনোনয়ন চেয়েও পাননি তিনি।১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত এই সংগঠনের সভাপতির ছিলেন মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করা এই নেতার পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামের সাতকানিয়া। রাজনীতিতে থাকলেও তেমন সরব নন। নেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদেও। তার সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইকবালুর রহীম। দশম সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর সদর থেকে সংসদ সদস্য হয়ে বর্তমান সংসদের একজন হুইপ।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। সক্রিয় রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। শামীমের সভাপতি থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন ইসহাক আলী পান্না। একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন।১৯৯৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন বাহাদুর বেপারি। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। সেই সঙ্গে বিবি ফাউন্ডেশন নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। এছাড়া একজন টক-শো ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়েছে তার পরিচিতি। তার পৈতৃক নিবাস শরীয়তপুর। বাহাদুর বেপারির সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অজয় কর খোকন। দশম সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাননি তিনি। পরে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ালে নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন লিয়াকত শিকদার। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন ব্যবসায়ী। লিয়াকত শিকদারের সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু। নবম ও দশম সংসদে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। রাজনীতি ছাড়াও জড়িত আছেন ব্যবসায়।২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন মাহমুদ হাসান রিপন। একই সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। তারা দুজনই আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন।২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। সোহাগের সভাপতি থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তারা দুজন এখনও দলের ভালো পদে আসতে পারেননি। নাজমুল দীর্ঘদিন ধরে প্রবাস যাপন করছেন। বর্তমানে ছাত্রলীগের সভাপতির পদে রয়েছেন মো. সাইফুর রহমান সোহাগ। ছাত্র সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি ২৮তম সভাপতি। তার পৈতৃক নিবাস মাদারীপুর। এ ছাড়া বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হলেন এস এম জাকির হোসেন। তার পৈতৃক নিবাস মৌলভীবাজার। এরা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।সংগঠনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষাপ্রাতিষ্ঠানিক অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যে মণ্ডিত। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত দেশ ও জনগণের স্বার্থরক্ষার্থে প্রত্যেকটি আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রধান ভূমিকা রেখেছে।ছয় দশকে সংগঠনটি পেরিয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও ছাত্র সমাজের ১১-দফাভিত্তিক স্বাধীকার আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালে জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র যুদ্ধ ও নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মুখর সময়।ছাত্রস্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলের অনেক সংকটে ছাত্রলীগ ছিল আন্দোলনের নেতৃত্বের ভূমিকায়। দাবি আদায়ের সংগ্রামে ঝরে গেছে বহু নেতাকর্মীর প্রাণ। সাম্প্রতিক সময়েও ছাত্রস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং অনেক মানবিক কাজেও মনোযোগী ছাত্রলীগ। তবে তৃণমূলের বিভিন্ন ইউনিটের অপকর্মের ভারও সইতে হচ্ছে ছাত্রলীগকে।এইউএ/এমআরএম/জেডএ/জেআইএম
Advertisement