অর্থনীতি

নাগরিক সেবায় তিন হাজার কোটি টাকা চায় ডিএসসিসি

নগরবাসীর জন্য উন্নত নাগরিক সেবা নিশ্চিত ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা অব্যাহত রাখতে তিন হাজার কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ চেয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। অর্থমন্ত্রী বরাবর এক আবেদনে এ বরাদ্দ চেয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার কোটি টাকা ‘বিশেষ বরাদ্দ’ চেয়ে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিটি কর্পোরেশন একটি নাগরিক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। একজন নাগরিকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা কর্পোরেশনের মূল দায়িত্ব। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব রাজস্ব এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকার থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ দ্বারা উন্নত নাগরিক সেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না।ডিএসসিসি বর্ণিত কর আদায়ের প্রকৃত হকদার ও আইনগত ক্ষমতাপ্রাপ্ত। কিন্তু এ করারোপের জন্য প্রবিধানমালা প্রণয়ন অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রবিধানমালা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত ডিএনসিসি এলাকা থেকে সরকার কর্তৃক আদায়কৃত রাজস্ব বা করের একটি ‘সন্তোষজনক’ অংশ বা সরকার থেকে ‘বিশেষ বা থোক বরাদ্দ’ প্রদান করা হলে নগরবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান ও সরকার প্রতিশ্রুত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব।মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত জানুয়ারিতেও এ ধরনের আবেদন করেছিলে সিটি কর্পোরেশন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার দেশের ক্রান্তিলগ্নে কোনো বিশেষ প্রকল্পের আওতায় এ ধরনের অর্থায়ন করতে পারে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প ছাড়া এ ধরনের অর্থায়ন সম্ভব নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ও।এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, সিটি কর্পোরেশন যেমন নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে তেমনি তারা যে স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে না এমন অভিযোগও রয়েছে। তাই তারা জনগণের করের টাকা নিয়ে কি কাজ করবে তার সুনির্দিষ্ট প্রকল্প উল্লেখ করা উচিত।তিনি আরো বলেন, তারা এ অর্থ নিয়ে কতটুকু সদ্ব্যবহার করবে তারও নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কারণ জনগণ জানতে চাইতে পারে তার দেয়া করের টাকা কোন খাতে কতটুকু স্বচ্ছতার সঙ্গে খরচ করা হচ্ছে।এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব জাগো নিউজে বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশন ডাস্টবিন স্থাপনের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছিল তা অনেকটাই ব্যর্থ। প্রতিটি ডাস্টবিনে পাঁচ হাজার টাকা করে খরচ পড়েছে। দুই সিটি কর্পোরেশনে প্রায় ছয় হাজার ডাস্টবিন স্থাপনের পর প্রকল্পটি বন্ধ রয়েছে। এ ধরনের প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হলে তাতে জনগণের অর্থের অপচয় হবে কি না সেটি ভেবে দেখতে হবে।সিটি কর্পোরেশনগুলোর সেবার মান বাড়াতে সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।এমইউএইচ/আরএস/আরআইপি

Advertisement