শীতকালে এমনিতেই শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে যায়। তারওপর ধুলার রাজত্বে অসহায় হয়ে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ধুলার কারণে একদিকে বাড়ছে জনভোগান্তি, অন্যদিকে রোগবালাই। বলতে গেলে সারা বছর ধরেই ধুলার রাজত্ব চলে রাজধানীতে। এ নিয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগের কোনো অন্ত না থাকলেও সমস্যা সমাধানের যেন কেউ নেই। কিন্তু এ অবস্থা দিনের পর দিন চলতে পারে না। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় রাজধানীকে ধুলামুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। নগরীর বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজ, রাস্তা সংস্কার কিংবা উন্নয়নের নামে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে উন্মুক্তভাবে। নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার কথা থাকলেও তা না করে মাটি, বালি, পাথর ইত্যাদি রাস্তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে দিনের পর দিন। গাড়ির চাকায় সেগুলো পিষ্ট হয়ে ধুলা ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। মাটি ও বালি বোঝাই ট্রাক রাজধানীতে প্রবেশ করছে উন্মুক্ত ভাবে। ধুলা সৃষ্টি হওয়ার এটিও অন্যতম কারণ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও বিশৃঙ্খলার কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ধুলা ছড়িয়ে পড়ছে বাসাবাড়িতেও। প্রতিদিনই দেখা যায় আসবাবপত্রের ওপর ধুলার পুরু আস্তরণ পড়েছে। জামাকাপড় ও ঘরদোর পরিষ্কার রাখতে গিয়েই গলদঘর্ম হতে হয়। লোকজনকে নাকে রুমাল দিয়ে চলতে হচ্ছে এখন । রাজধানীতে উন্নয়ন কাজে সমন্বয়ের কথা বলা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। ওয়াসা, ডেসা, তিতাস - এক সংস্থা তাদের কাজ শেষ করে তো আরেক সংস্থা শুরু করে। এ কারণে সারাবছর ধরেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলতে থাকে। ফলে উৎপাদন হয় ধুলা। একদিকে অপচয় অন্যদিকে ধুলা সৃষ্টি। এ অবস্থায় ধুলা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, ধুলার অত্যাচারে রাজধানীবাসী অতিষ্ঠ। এ থেকে তাদের রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দুই সিটি কর্পোরেশনকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এইচআর/এমএস
Advertisement