৬৮ দিন উপোস থেকে আরাধনা নামে ১৩ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ভারতের হায়দারাবাদে গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটেছে। জৈন আচারের অংশ হিসেবে ওই ছাত্রী দুই মাসের বেশি সময় ধরে উপোস করছিল। উপোস শেষ করার দু’দিন পরেই অসুস্থ অবস্থায় আরাধনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এত অল্প বয়সের একটা মেয়ের স্কুল বন্ধ রেখে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে উপোস থাকার বিষয়ে তার পরিবার কোনো বাধা দিল না কেন তা নিয়ে বেশ বিতর্ক শুরু হয়েছে। জৈন আচার পালনকারীরা একে পুণ্য বলে মেনে নিলেও অনেকেই এর সঙ্গে একমত নন। লতা জৈন নামের এক নারী বলেন, প্রায়শ্চিত্ত করতে বা নিজে মৃত্যুকে বরণ করতে জৈন ধর্মানুসারীরা উপোস করে থাকেন। এক্ষেত্রে তারা শুধু খাবার নয় পানিও স্পর্শ করেন না। তারা জৈন আচার পালনকারী বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকেই এ ধরনের ধর্মীয় চর্চার উৎসাহ পেয়ে থাকে। এই ঘটনা খুবই কম ঘটে এবং এটা নিয়েই আপত্তি তোলা উচিত। এটা হত্যা না হলেও আত্মহত্যা বলে মন্তব্য করেন লতা। আরাধনার পারিবারিক একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও ৪১ দিন উপোস থেকেছিল আরাধনা। সে যাত্রায় সে বেঁচেও গেছে। আরাধনার দাদা মানিকচন্দ সামধারিয়া বলেন, পরিবারের সদস্যরা ছাড়া অন্যরাও তার উপোসের বিষয়টি জানত। অনেকেই বাড়িতে এসে আরাধনার সঙ্গে ছবি তুলেছে। কিন্তু এখন অনেকেই আমাদের দিকেই আঙ্গুল তুলছে কেন আমরা তাকে ৬৮ দিন ধরে উপোস করতে কোনো বাধা দিলাম না। মহারাসা রবীন্দর মুনিজি নামে জৈন ধর্মের এক বয়োজ্যেষ্ঠ বলেন, তপস্যা বা উপোস কারো উপর চাপিয়ে দেয়া হয় না। তবে এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। টিটিএন/এবিএস
Advertisement