আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এতে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে বুধবার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন শিল্প ও সেবা খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অ্যাক্ট ২০১০ প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিনিয়োগবান্ধব নতুন শিল্পনীতি ঘোষণা করা হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমি ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেছি। ইতোমধ্যে ৭৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। সরকার ও ব্যক্তি খাতের সম্মিলনে অবকাঠামো খাতসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করার জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটি করা হয়েছে। এ সকল খাতে বিনিয়োগ করার জন্য পিপিপি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন।এছাড়া বিশেষ বিশেষ শিল্প খাতের জন্য ৫-১০ বছর কর দেওয়ার সুবিধা, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পে শূন্য শুল্ক হারে যন্ত্রপাতি আমদানি ও বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল আমদানির সুবিধা, দ্বৈত কর দেওয়ার সুবিধা (বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পাদিত দ্বি-পাক্ষিক কর প্রত্যাহার চুক্তির আলোকে), ত্বরান্বিত অবচয় সুবিধা প্রদান, রয়্যালিটি, কারিগরি সহায়তা, ইউরোপসহ অধিকাংশ উন্নত দেশে ডিউটি ও কোটা ফ্রি প্রবেশ সুবিধা, শতভাগ বিদেশি মালিকানার সুবিধা প্রদান, শতভাগ মূলধন ও মুনাফা প্রত্যাবাসন সুবিধা প্রদান, বিদেশ কর্মীদের কর্মানুমতি প্রদান, ইউডি, আইআরসি এবং বন্ড নবায়ন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এইচএস/এসএইচএস/এবিএস
Advertisement