নারায়ণগঞ্জের আলোচিত বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে স্কুলেরই এক নারী শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ দায়েরকৃত মামলার বিষয়টি পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালত এ আদেশ দেন।এদিকে এতোদিন পর প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে একই স্কুলের শিক্ষিকার দায়ের করা মামলা নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।বাদীপক্ষের আইনজীবী এসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, মামলাটির (১১২/১৬) আবেদন করেছেন বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, তাকে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত দুই দফায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে এমপিওভুক্ত করতে তিনি কোনোরূপ সহায়তা করেননি।প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধর ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলার আবেদন করা হয়। যার মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধরের মামলার আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত।নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ঘুষ নেয়ার অভিযোগটি তদন্ত করে দেখার জন্য বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গত ৮ মে ও ১৩ মে ছাত্র রিফাত হাসানকে মারধরের অভিযোগে মামলাটির আবেদন করেন বাদিনী রিফাত হাসানের মা রিনা বেগম। যার নম্বর ১১০/১৬। অপর মামলায় বন্দর কল্যান্দী এলাকার সামছুল হক সামছু বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ করেন। যার নম্বর ১১১/১৬। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই সাখাওয়াত হোসেন জানান, যেহেতু উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে সেহেতু আদালত ২০৩ ধারা অনুযায়ী রিনা বেগম ও সামছুল হক সামছুর মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।শাহাদাত হোসেন/এফএ/আরআইপি
Advertisement