কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণকে লাথি মেরে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলীর অফিসকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্ত মাহবুব আলম মুন্সী মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ অফিসে তার চেয়ারে বসে আছেন। তার সামনে মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুব আলম মুন্সী দাঁড়িয়ে থেকে তর্ক-বিতর্ক করছেন। এক পর্যায়ে প্রকৌশলীকে লাথি মেরে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন মাহবুব আলম মুন্সী। মুহূর্তেই এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুব আলম মুন্সী বলেন, উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসকাইট থেকে প্রান্তি বাজার পর্যন্ত সড়কটির খুবই বেহাল অবস্থা। সংস্কারের একটি আবেদন নিয়ে আমিসহ স্থানীয় কয়েকজন উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে যাই। তিনি আবেদনটি দেখে গরিমসি শুরু করেন। এক পর্যায়ে বলেন, এটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব। রাস্তাটির সংস্কার খুবই জরুরি। এই বিষয়টি ওনাকে বুঝাতে গেলে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন যদি রাস্তা ভেঙে পানি জমে থাকে, তাহলে আপনারা গিয়ে বালতি দিয়ে সে পানি পরিষ্কার করেন। এ কথা বলে তিনি উত্তেজিত হয়ে গেলে, তখন আমিও উত্তেজিত হয়ে যাই।
Advertisement
পরে আমাদের মুরুব্বিরা এলে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে বসে ঘটনাটির সুরাহা হয়। শর্ত অনুযায়ী আমার কাছে কিছু ভিডিও ছিল, তা আমি ডিলিট করে দেই। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের আমির আ ন ম ইলইয়াস বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি দুঃখজনক। একপক্ষ থেকে তো আসলে কোনো ঘটনা তৈরি হয় না। যাই হোক, বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে বসে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে সুরাহা করেছি। এই ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। এ ধরনের ঘটনা, না হওয়াটাই ভালো।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান জানান, রাস্তা সংস্কারের আবেদনটি নিয়ে প্রথমে আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে পাঠিয়েছি। ওখানে গিয়ে আসলে তারা কী করেছে আমি তা জানি না। পরে আমি তাদের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকদের ডেকেছিলাম। তারা উপস্থিত হয়ে এ বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
জেডআইপি/এএমএ