রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ৩০ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারসহ ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হাইয়েস মাইক্রোবাস এবং নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের নাম- মো. শামিম রহমান (২৯), মো. মিজান রহমান (৫১) ও রবিউল ইসলাম জুয়েল (৪২)।
Advertisement
২৭ থেকে ২৯ জুন ঢাকা ও ঝালকাঠিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় শামিমের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি ও মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও জুয়েলের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৩০ জুন) ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৬ জুন দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর নবাবপুরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মো. খলিল মিয়া (২৬) ও ইব্রাহীম হোসেন রিফাত (২৪) নামের দুই ব্যক্তি একটি স্কুটিতে করে নগদ ৩০ লাখ টাকা মতিঝিল সিটি ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার জন্য রওয়ানা দেন। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছালে ৬-৭ জন ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডিবি লেখা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে জোর করে তাদের উঠিয়ে নিয়ে যায়।
Advertisement
পরে দুজনকে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে হাত-পা বেঁধে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড নামক এলাকার একটি ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইদুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপির মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার থেকে গত রোববার ঢাকা ও ঝালকাঠি জেলায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় শামিমের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি ও মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও জুয়েলের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মিজানের নামে ঝালকাঠির রাজাপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় আরও দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
Advertisement
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং লুণ্ঠন হওয়া বাকি টাকা উদ্ধারসহ আত্মগোপনে থাকা ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।
টিটি/এমকেআর/এমএস