দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা আজাদি বেগম (৬৫) মারা গেছেন।
Advertisement
রোববার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরে জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে ৫ জুলাই ছেলে জুয়েল ইসলাম (৪৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা যায়, ২৪ জুন সন্ধ্যায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ল্যাম্ব হাসপাতাল মিশন ব্রিজ থেকে পশ্চিমে বিপরীত দিকে আসা পাওয়ার টিলার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন জুয়েল ইসলাম। তাকে উদ্ধার করে ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১ ঘণ্টা পর রংপুর ডক্টর ক্লিনিকে নেওয়া হয়।
Advertisement
এখানে অবস্থার অবনতি হলে ২৫ জুন রাত আড়াইটায় ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই সেখান থেকে নেওয়া হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে। সেখান থেকে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ জুন থেকে ২ জুলাই এই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জুলাই মারা যান জুয়েল ইসলাম।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মা আজাদি বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ওই অবস্থায় তাকে দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত সাড়ে ১২টায় মারা যান আজাদি বেগম।
নিহত জুয়েলের দুলাভাই আমজাদ হোসেন বলেন, জুয়েলের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে আফিফা জাহান জোসিকা ও ছোট মেয়ে জেবা জাহান পার্বতীপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর বড় ছেলে জুনায়েত ইসলাম আবির (১৪) জ্ঞানাঙ্কুর পাইলট মডেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও ছোট ছেলে জাবির ইসলাম মন্মথপুর-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পাওয়ার টিলারটি আটক রয়েছে।
Advertisement
এমদাদুল হক মিলন/জেডএইচ/জেআইএম