মহাস্থানগর বা পাহাড়পুর যাদের যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না, তাদের একটা সুযোগ এসেছে। সেখানকার নিদর্শনগুলো একত্রে দেখা যাবে রাজধানী ঢাকায়। তবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত পাথরের মূর্তিগুলো ক্যানভাসে এঁকেছেন একজন তরুণ শিল্পী। চারকোলে আঁকা সেসব শেকড়ের গল্প দেখেও ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার সাধ কিছুটা মিটবে।
Advertisement
গত ৪ জুলাই বিকেলে উত্তরার এলবিয়ন আর্ট গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ব্যতিক্রম এক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘মাটি, মূর্তি ও মানস’। দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ক্যানভাসে এঁকেছেন জারিন তাসনিমা। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বগুড়ার আম্বিয়া, খুলনার উমা, কুমিল্লার তারা, নওগাঁর বালারাম। এ রকম ১৫টি চিত্রকর্ম নিয়ে তার প্রথম একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।
এই শিল্পকর্ম সৃজনের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে জারিন তাসনিমা বলেন, ‘বাবার কাজের সুবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে আমার। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখে সেগুলোর পেছনের ইতিহাস জানার প্রতি আগ্রহ জাগে। বরেন্দ্র, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি দেখেছি, জায়গাগুলোর ইতিহাস জেনেছি। যতো গভীরে গিয়েছি, বেশি বুঝতে পেরেছি, এগুলো আমাদের শেকড়ের উপাদান। নিজেদের শেকড়কে শিল্পকর্মে তুলে ধরেছি, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে জানাতে পারি। সেই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার অংশ এই প্রদর্শনী।’
জারিনকে শুভ কামনা জানাতে প্রদর্শনীতে এসেছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামীম রেজা। প্রদর্শনী চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জারিনের শিল্পকর্ম দেখে আসা যাবে।
Advertisement
আরএমডি