জাতীয়

দৈনিক ভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা বাতিলের দাবি

দৈনিক ভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা বাতিলের দাবি

দৈনিক ভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা-২০২৫ বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ‘বাংলাদেশ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন।

Advertisement

সোমবার (৩০ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সংগঠনের আহ্বায়ক মো. বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মো. মিজানুর রহমানের পরিচালনায় সংগঠনটির শতাধিক কর্মী কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

এ সময় মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, দৈনিক ভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা-২০২৫ বাতিল করে সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়স শিথিল করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

আরও পড়ুন কাজে যোগ দিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

আন্দোলনকে যৌক্তিক দাবি করে মাতৃত্কালীন ছুটি ও বাৎসরিক নৈমিত্তিক ছুটি থেকে বঞ্চিত; উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, অধিকাল ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও শিক্ষা ভাতা থেকে বঞ্চিত; চাকরির নিশ্চয়তা, বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা, তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়াই চাকরিচ্যুত করাসহ নানা বৈষম্য তুলে ধরেন নেতারা।

Advertisement

সদস্যসচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরিতে কর্মরতদের বয়স শিথিল করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী করার দাবি উঠেছে। করোনা মহামারির সময় এসব দৈনিক ভিত্তিক নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন সেবাখাতের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। লকডাউনে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস এবং সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রাখতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তবুও করোনা-পরবর্তী সময়ে ঘোষিত সরকারি প্রণোদনা থেকে তারা বঞ্চিত রয়েছেন। অনতি বিলম্বে এসব বৈষম্য দূর করতে হবে, অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলবে।

ইএআর/ইএ/এএসএম