খাদ্য সংক্রান্ত সমস্যা চিহ্নিত করার সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের পথও দেখাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য সচিব মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, আমরা জনগণের অর্থে গবেষণার কাজ করছি, জনস্বার্থের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে গবেষণা করতে হবে। জনগণের উপকার হতে হবে।
Advertisement
রোববার (২৯ জুন) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে গৃহীত গবেষণা প্রকল্প অবহিতকরণ এবং চেক বিতরণ অনুষ্ঠান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বিএফএসএর চেয়ারম্যান জাকারিয়ার (অতিরিক্ত সচিব) সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহ আব্দুল আলিম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০টি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলোর দায়িত্ব পেয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জাভেদ এইচ খান, বিসিএসআইআর এর ইনস্টিটিউট অব ফুড সাইন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের পিএসও মো. আলমগীর কবির ও ড. মো. আহেদুল আকবর, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরহাদুস আলতাফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
Advertisement
সেমিনারে জানানো হয়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছর থেকে বিএফএসএ গবেষণা কার্যক্রমে অনুদান দেওয়া শুরু করে। সে হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭টি, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০টি এবং চলতি অর্থবছরে ১০টি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ বছরে মোট ১১০টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। সেখান থেকে তিন দফা বাছাই শেষে ১০টি গবেষণা প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে। এই গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে মোট ১ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে খাদ্য। সেক্ষেত্রে এসব বিষয়ে গবেষণায় দৃষ্টি দিতে হবে। আর যেসব বিষয়ে গবেষণা হচ্ছে তা যেন মানুষের কাজে আসে তাতে প্রাধান্য দিতে হবে।
সেমিনারে অতিরিক্ত সচিব শাহ আব্দুল আলিম বলেন, ফুড অ্যাডালটারেশনে আমরা বিশ্বে প্রথম সারিতে। দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর এক ধরনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমরা আত্মঘাতী জাতিতে পরিণত হচ্ছি।
বাজেট বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা গবেষণায় বাজেট বাড়াতে চেষ্টা করব। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ প্রয়াস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর জীবন গঠনে কাজে আসবে।
Advertisement
জাকারিয়া বলেন, আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরামর্শ দেওয়া। আর নীতি-নির্ধারণীরা তা বাস্তবায়ন করবে।
এনএইচ/এএমএ/জেআইএম