ইসরায়েলি হামলা ও অবরোধের কারণে গাজায় অপুষ্টির শিকার হয়ে কমপক্ষে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলি অবরোধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শিশুদের জন্য দুধ, পুষ্টিকর সম্পূরক এবং অন্যান্য খাদ্য সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করছে ইসরায়েল। দীর্ঘদিন ধরে দখলদার ইসরায়েলের অবরোধের মুখে সেখানে খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।
Advertisement
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আরও তীব্র হামলা চালাচ্ছে। গাজা শহরের তুফাহ পাড়ায় ২০ জনসহ কমপক্ষে ৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী।
গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, ইসরায়েলের মারাত্মক অবরোধ একটি ‘যুদ্ধাপরাধ’ এবং বেসামরিক নাগরিকদের নির্মূল করার জন্য তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
গাজায় ফিলিস্তিনি শিশুদের শৈশব ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুধা, নানা ধরনের রোগ এবং অপুষ্টিতে ধীরে ধীরে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে। অথচ গাজার এসব শিশুর দুর্ভোগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব ভূমিকা পালন করছে যা সত্যিই লজ্জাজনক।
Advertisement
এর আগে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ) সতর্ক করেছে যে, গাজা উপত্যকায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা ‘উদ্বেগজনক হারে’ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু মে মাসেই ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী কমপক্ষে ৫ হাজার ১১৯ জন শিশুকে তীব্র অপুষ্টির চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই সংখ্যা এপ্রিল মাসে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ৪৪৪ জন শিশুর তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিশুদের জন্য খাদ্য, পানি এবং পুষ্টির চিকিৎসা অত্যন্ত প্রয়োজন, কিন্তু তাদের কাছে তা পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরিভাবে ইসরায়েল সব সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি না দিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
টিটিএন
Advertisement