জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে এসব কর্মসূচি চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত।
Advertisement
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে মগবাজারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তাক্ত ঐতিহাসিক স্মৃতিকে ধারণ করে আমরা মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একটি সর্বজনীন আন্দোলনের মাধ্যমে এই রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের কালো যুগ পেরিয়ে আমরা জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
যা রয়েছে কর্মসূচিতে১ জুলাই: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গুতবরণকারীদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠান। ২-৪ জুলাই: দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও ইয়াতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ। ৮-১৫ জুলাই: শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান। ১৬ জুলাই: রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।
Advertisement
আরও পড়ুন
৫ আগস্টকেই ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করা উচিত: জামায়াত আমির ৫ আগস্টের পর জামাল হোসেনে ‘জিম্মি’ পবিপ্রবি প্রশাসন১৯ জুলাই: জামায়াত ঘোষিত ৭ দফা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ। একই দিন শহীদ পরিবারের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে জামায়াত আমিরের অংশগ্রহণ। ২০-২৪ জুলাই: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য ও গণপ্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। ২৫-২৮ জুলাই: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৯-৩০ জুলাই: নারী ও ছাত্রীদের উদ্যোগে আলোচনা সভা।
১ আগস্ট: জাতীয় সেমিনার (শহীদ স্মারকের ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন)। ১-৩ আগস্ট: ছাত্রদের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি। ৫ আগস্ট: দেশব্যাপী গণমিছিল পালন এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ। ৬-৮ আগস্ট: সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা।
এএএম/কেএসআর/এমএস
Advertisement