জাতীয়

রেলওয়ের জায়গায় শত শত অবৈধ স্থাপনা থাকলেও মণ্ডপ সরানো হলো কেন

রেলওয়ের জায়গায় শত শত অবৈধ স্থাপনা থাকলেও মণ্ডপ সরানো হলো কেন

শত শত অবৈধ স্থাপনা রেলওয়ের জায়গায় থাকলেও খিলক্ষেত এলাকার অস্থায়ী মণ্ডপ কেন সরিয়ে ফেলা হলো- এমন প্রশ্ন করেছেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।

Advertisement

শুক্রবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এমন প্রশ্ন করেন। রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

মানববন্ধনে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের আমলে একের পর এক হিন্দু নির্যাতন হয়েছে সরকারি মদতে। তবে সেখানে সরকারের সরাসরি অংশগ্রহণ দেখিনি। এবার দেখেছি পুলিশ নিজে মন্দিরের টিনের বেড়া খুলেছে। সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মন্দির ভেঙেছেন। তাদের দাবি এটা অবৈধ স্থাপনা।

আরও পড়ুন সরকারি জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরানো প্রসঙ্গে রেলের বক্তব্য ইরান এখন কী করবে?

তিনি বলেন, পাশে মসজিদ রয়েছে, মাদরাসা রয়েছে। বিএনপির অফিস রয়েছে। আরও শত শত স্থাপনা এই রেলওয়ের জায়গায় রয়েছে। সেসব অবৈধ স্থাপনা না সরিয়ে হিন্দু মন্দির ধ্বংস কেন? তার মানে এই সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ও ওপর মহলে মৌলবাদের আখড়া তৈরি হয়েছে।

Advertisement

হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব আরও বলেন, আপনারা বলছেন এই জমি রেলওয়ের। রেলওয়ে এই জায়গা কোথায় পেয়েছে? আপনারা সিএস রেকর্ড নিয়ে আসেন। এই জমি হচ্ছে ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র কুমার চৌধুরীর। রেলওয়ে কোনো রকম ক্ষতিপূরণ ছাড়া হিন্দুর সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে। হিন্দুদের সম্পত্তিতে হিন্দুরা মন্দির করবে এটাই স্বাভাবিক।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- হিন্দু মহাজোটের সভাপতি দীনবন্ধু রায়, নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক প্রতীভা বাকচী, যুগ্ম মহাসচিব হেমন্ত দাস প্রমুখ।

আরএএস/কেএসআর/এএসএম

Advertisement