সিরাজগঞ্জে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১৩ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে জেলা বিএনপি।
Advertisement
২১ জুন জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হক সই করা পৃথক পত্রে এই তথ্য জানানো হয়। তবে মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে শোকজের বিষয়টি জানাজানি হয়।
শোকজপ্রাপ্ত নেতারা হলেন:
জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেন খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামছুল ইসলাম, জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আয়নুল হক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামাল হোসেন, আমিনুল বারী তালুকদার, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য রহিদ মান্নান লেলিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল, রায়গঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাতেম আলী সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম হিরন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুম বাদশা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আব্দুল হাশেম।
Advertisement
ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০ জুন তাড়াশ উপজেলার শাহ শরীফ জিন্দানী (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের সময় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে শ্লোগানে বলা হয়, ‘টুকু ভাইয়ের সালাম নিন (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু) দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিন।’ পরবর্তীতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এ অবস্থায় আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ পূর্বক অনুরোধ করা হলো।
জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হক জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শোকজ নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য রহিত মান্নান লেলিন জানান, নওগাঁ মাজার জিয়ারতের সময় সেখানে জামায়াতের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে কে বা কারা ওই স্লোগান দিয়েছিল তা আমি জানি না।
এম এ মালেক/জেডএইচ/
Advertisement